দোটানায় চীন-মার্কিন সম্পর্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৩৬:৫০ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বেইজিং যদি ইউক্রেন যুদ্ধকে পশ্চিমের বিরুদ্ধে প্রক্সি যুদ্ধের নতুন ফ্রন্ট মনে করে, তাহলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভক্তি আরও বাড়বে। এটি চলতে পারে আরও কয়েক দশক পর্যন্ত। কারণ ইউক্রেন ভিয়েতনাম বা তাইওয়ান নয়। সেখানে যে কোনো হস্তক্ষেপের ব্যাপক বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া হবে।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের বর্ষপূর্তিতে বেইজিং মস্কোকে সমর্থন করার ইঙ্গিত দিয়েছে। বর্ষপূর্তির দুই দিন আগে ২২ ফেব্রুয়ারি চীনের স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ই মস্কো সফরে গিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তা মিলিয়ে যাওয়ার অবস্থা তৈরি হয়েছে। বেলুন নিয়ে কিছু দিন আগেই এই সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হতে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সেটা না হলেও ইউক্রেন এই সম্পর্ক কোথায় গিয়ে ঠেকে সেটা বলা যাচ্ছে না।
ওই সম্মেলনে তিনি চীনের বেলুনের মার্কিন আকাশসীমা লঙ্ঘনের জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে অস্বীকার করেন। তিনি বরং এক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের প্রতিক্রিয়াকে ‘দুর্বল’ ও ‘ক্ষ্যাপাটে’ বলে মন্তব্য করেন। বেলুন বিতর্ক শুরুর পর থেকে চীনের গণমাধ্যমে মার্কিন বিরোধী প্রচারণা কিছুটা বাড়ে।
একই সঙ্গে রাশিয়ার ইউক্রেনে যুদ্ধের পক্ষে প্রচার শুরু হয়। দেখানো হয়, ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রাশিয়া নয় বরং ন্যাটোর আগ্রাসী কর্মকাণ্ডই দায়ী। বেলুন নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি নিরসনে পরদার আড়ালে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চললেও ওপর দিয়ে বেইজিং সেটা বুঝতে দেয়নি।