হাওর অঞ্চলের প্রতিটি সড়ক হবে এলিভেটেড : কিশোরগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ৯:৪২:০৪ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট :
নির্বিঘ্নে পানিপ্রবাহ, জলজ চাষ ও সুষ্ঠু নৌপথ বজায় রাখার জন্য সিলেট-কিশোরগঞ্জসহ দেশের হাওর অঞ্চলের প্রতিটি সড়ক হবে এলিভেটেড।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ ঘোষণা দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি ইতিমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছি যে প্রতিটি হাওর, বিল ও জলাভূমি এলাকায় প্রতিটি সড়ক এলিভেটেড হবে।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব সড়ক উঁচু করা হবে, যাতে বর্ষাকালে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত না হয়। মাছ ও নৌকা চলাচলে বাধা না পড়ে। স্থানীয় যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত না হয়। এতে ক্যান্টনমেন্ট থেকে সিলেট ও ঢাকার যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হবে।হাওর এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে মিঠামইনের ক্যান্টনমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আমাদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় হাওর অঞ্চলের মানুষ বেঁচে থাকার জন্য সব সময় সংগ্রাম করে। বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ১৯৭০ সাল থেকে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। জনগণের সেবা করেছেন। এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের পাশে থেকেছেন। তাঁদের ভালো-মন্দ সময়ে নিরবচ্ছিন্ন সঙ্গী হয়েছেন। তিনি তাঁদের ভাগ্য পরিবর্তনে নিরলসভাবে কাজ করেছেন।মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কামালপুরের পৈতৃক নিবাসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে তিনি মিঠামইনে পৌঁছান। পরে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে নবনির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের আপ্যায়নে মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির বাড়িতে প্রধানমন্ত্রীর মধ্যাহ্নভোজে ছিল কিশোরগঞ্জের বিখ্যাত রাতাবোরো চালের ভাত ও হাওরের বিভিন্ন প্রকার মাছ।