দেশের ২২৯ এলাকা দুর্ঘটনাপ্রবণ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ৯:৪৮:২৪ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট:
দেশের ২২৯টি এলাকা দুর্ঘটনাপ্রবণ ও ১০৮টি স্থানকে অতি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে বেসরকারি সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।রোড সেফটি ফাউন্ডেশন তিন বছরব্যাপী গণমাধ্যমে প্রকাশিত সড়ক দুর্ঘটনার স্থানগুলো পর্যবেক্ষণ করে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। দুর্ঘটনার ধরন ও মাত্রা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ১০৮টিকে অতি দুর্ঘটনাপ্রবণ ও ১২১টিকে সাধারণ দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হিসেবে বিবেচনা করেছে।
অতি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা : দেশে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে। দুর্ঘটনার সংখ্যা ও এতে নিহত বা আহত ব্যক্তির সংখ্যা নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর দেওয়া তথ্যে পার্থক্য থাকলেও দুর্ঘটনা বৃদ্ধির বিষয়টি স্পষ্ট।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের গবেষণায় অতি দুর্ঘটনাপ্রবণ যে ১০৮টি স্থানের তালিকা তুলে ধরা হয়েছে, তার মধ্যে সাত জেলায় সবচেয়ে বেশি, অর্থাৎ চারটি করে উপজেলায় দুর্ঘটনা সবচেয়ে বেশি হয়। এ সাত জেলা হলো টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, দিনাজপুর, রংপুর, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা। এই সাত জেলায় টাঙ্গাইলের উপজেলাগুলোর মধ্যে বেশি দুর্ঘটনাপ্রবণ ভূঞাপুর, কালিহাতী, ঘাটাইল ও মির্জাপুর। চট্টগ্রামের মীরসরাই, সীতাকু-, পটিয়া ও চন্দনাইশ উপজেলায় বেশি দুর্ঘটনা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চার দুর্ঘটনাপ্রবণ উপজেলার মধ্যে আছে সরাইল, নবীগঞ্জ, বিজয়নগর ও আখাউড়া। চিরিরবন্দর, বীরগঞ্জ, বিরামপুর ও ফুলবাড়ী—দিনাজপুরের এই চার উপজেলা অতি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। রংপুরের চার উপজেলা হলো পীরগঞ্জ, কাউনিয়া, পীরগাছা ও বদরগঞ্জ। ময়মনসিংহের চার উপজেলার মধ্যে আছে ভালুকা, গফরগাঁও, নান্দাইল ও ত্রিশাল। আর অতি দুর্ঘটনাপ্রবণ কুমিল্লার চার উপজেলার মধ্যে আছে চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম, ব্রাহ্মণপাড়া ও বুড়িচং।
যেসব এলাকায় বেশি দুর্ঘটনা ঘটছে, তার সাতটি কারণ তুলে ধরেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। এর মধ্যে প্রধান কারণ হলো এলাকার সড়কের নকশা ও অবকাঠামোগত ত্রুটি। দ্বিতীয় কারণ হলো সড়কের পারিপার্শ্বিক বিরূপ অবস্থা।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, ‘দেশের ২২৯টি এলাকার বাইরেও দুর্ঘটনা ঘটছে, তবে তা প্রতিনিয়ত নয়। মূলত, যেসব এলাকায় ধারাবাহিকভাবে দুর্ঘটনা ঘটছে, সেসব এলাকাকে বিবেচনায় নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে অতি দুর্ঘটনাপ্রবণ বলতে যেসব এলাকায় কয়েক দিন পরপরই দুর্ঘটনার ঘটছে, সেসব এলাকাকে বিবেচনা করা হয়েছে। আর সাধারণ দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা বলতে যেখান কিছু বিরতিতে দুর্ঘটনা ঘটে, সেগুলোকে বোঝানো হয়েছে।’