চিকিৎসকদের রাজনীতি-টাকার পেছনে ছোটা কাম্য নয় : প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ মার্চ ২০২৩, ৯:২২:৪৪ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জনের পর ডাক্তারদের একটি মহল চিকিৎসা চর্চা ও গবেষণা বাদ দিয়ে সরকারি চাকরি অথবা রাজনীতিতে চলে যান। আরেক শ্রেণি আছেন, তারা শুধু টাকা কামাতেই ব্যস্ত। এটা কাম্য নয়। অনেকে আবার একইসঙ্গে সরকারি চাকরি ও প্রাইভেট প্র্যাকটিসও করেন। চাকরি ও প্র্যাকটিসের পর তাদের গবেষণার কাজটা আর করা হয়ে ওঠে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, গবেষণাকাজটা সবসময়ই চলুক। কিন্তু দুঃখের কথা না বলে পারিও না, সেটা হলো- আমাদের কৃষি নিয়ে গবেষণা চলছে, বিজ্ঞানের গবেষণাও চলছে। স্বাস্থ্যখাতে গবেষণা খুবই সীমিত। স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের গবেষণা খুবই সীমিত কয়েকজন করেন। স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণা খুবই দরকার। বারবার বলার ফলে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। তবে আরও বেশি দরকার। এজন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণায় বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।’
বৃহস্পতিবার সকালে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ’, ‘এনএসটি ফেলোশিপ’ ও ‘বিশেষ গবেষনা অনুদান’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের দক্ষ বিজ্ঞানী দরকার জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। দক্ষ বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদ সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশে-বিদেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্ত গবেষণা এবং অধ্যয়নের জন্য এমএস, এমফিল, পিএইচডি প্রোগ্রামে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ দেওয়া হচ্ছে। ২০১০ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত ৬৮২ জনকে প্রায় ২৬৮ কোটি ৭০ লাখ টাকার ফেলোশিপ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এমফিল, পিএইচডি ও পিএইচডি-উত্তর পর্যায়ে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ দেওয়া হচ্ছে। এ ফেলোশিপের আওতায় ২০০৯-১০ থেকে এ পর্যন্ত ২৫ হাজার ৭০১ জন গবেষককে প্রায় ১৫৭ কোটি ৫১ লাখ টাকার বৃত্তি বা অনুদান দেওয়া হয়েছে। এটা শুধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে। পাশপাশি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকেও ফেলোশিপ, বৃত্তি, উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।’