অনুমোদন পেল ধানের নতুন দুই জাত
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ মার্চ ২০২৩, ৯:২৯:৪২ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) উদ্ভাবিত নতুন দুই জাতের উচ্চ ফলনশীল ধানের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় বীজ বোর্ড। নতুন জাত দুটি নিয়ে ব্রি উদ্ভাবিত সর্বমোট ধানের জাত সংখ্যা দাঁড়ালো ১১৩টিতে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় বীজ বোর্ডের ১০৯তম সভায় ব্রি ধান ১০৫ ও ব্রি ধান ১০৬ জাতগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়। ব্রি ১০৫ হলো বোরো মৌসুমে চাষের উপযোগী কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) সম্পন্ন ডায়াবেটিক জাতের ধান। আর রোপা আউশ মৌসুমের অলবণাক্ত জোয়ার-ভাটা অঞ্চলে চাষের উপযোগী জাত ব্রি ধান ১০৬।
ব্রি ১০৫ ধানের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য হলো সবুজ পাতা, খাড়া ডিগপাতা, মাঝারি, লম্বা ও চিকন দানা যার জিআই মান ৫৫। কম জিআই হওয়ার কারণে এটি ডায়াবেটিক চাল হিসাবে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা লাভ করবে বলে আশা করা যায়। ধান পাকার পরও এ জাতের গাছ সবুজ থাকে। একটি পূর্ণবয়স্ক গাছের গড় উচ্চতা ১০১ সেন্টিমিটার। গড় ফলন হেক্টরে ৭ দশমিক ৬ টন তবে উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে অনুকূল পরিবেশে হেক্টরপ্রতি সাড়ে ৮ টন পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম। এ জাতের দানার আকার মাঝারি সরু, রঙ সোনালি। এর জীবনকাল ১৪৮ দিন। এই জাতের ১ হাজার দানার ওজন ১৯ দশমিক ৪ গ্রাম। ব্রি ধান ১০৫ এর অ্যামাইলোজের পরিমাণ ২৭ শতাংশ এবং প্রোটিন ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। রান্না করা ভাত ঝরঝরে এবং সুস্বাদু।
আউশ মৌসুমের অলবণাক্ত জোয়ার-ভাটা অঞ্চলের উপযোগী উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত ব্রি ১০৬। এ জাতের গাছের ডিগপাতা খাড়া, প্রশস্ত ও লম্বা হয়, পাতার রং গাঢ় সবুজ। এ জাতের গাছের গোড়ায় ও ধানের দানার মাথায় বেগুনি রং থাকে, গড় উচ্চতা ১২৫ সেন্টিমিটার।
ব্রি ১০৬ জাতের ধানের গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৪ দশমিক ৭৯ টন যা অলবণাক্ত জোয়ার-ভাটা অঞ্চলের জনপ্রিয় জাত ব্রি ধান ২৭ এর চেয়ে শতকরা ১৭ দশমিক ৪ ভাগ বেশি। তবে উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে ব্রি ধান ১০৬ এর হেক্টর প্রতি ৫ দশমিক ৪৯ টন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। নতুন জাতটির বিশেষত্ব হলো, গাছ হেলে পড়ে না। ধানের দানা মাঝারি মোটা এবং সোনালি বর্ণের। এ ধানের গড় জীবনকাল ১১৭ দিন। ১ হাজারটি পুষ্ট ধানের ওজন গড়ে সাড়ে ২৪ গ্রাম। দানায় অ্যামাইলোজের পরিমাণ শতকরা ২৭ দশমিক ২ ভাগ এবং প্রোটিন শতকরা সাড়ে ৮ ভাগ। ভাত ঝরঝরে।