অর্থছাড়ের আগে শর্তপূরণের তাগিদ বিশ্বব্যাংকের
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ মার্চ ২০২৩, ১০:০৩:৩৩ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক : শর্তসাপেক্ষে গত বছর বাংলাদেশের জন্য ২৫ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তার অনুমোদন দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। এসব শর্তের বেশিরভাগই বাস্তবায়িত হয়নি। শর্ত বাস্তবায়িত না হলে বাজেট সহায়তাও বিলম্ব হবে। এ নিয়ে গত সপ্তাহে অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রেহানা পারভিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা। তারা দ্রুত অর্থছাড়ের জন্য পূর্বের দেওয়া শর্তগুলো জরুরি ভিত্তিতে বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন। চলতি অর্থবছরে বাজেট সহায়তাসহ অন্যান্য প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের জন্য প্রায় ৬০ কোটি ডলার বরাদ্দ রেখেছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
অন্যদিকে বাংলাদেশের আর্থিক খাতে জলবায়ু-সম্পর্কিত ঝুঁকি মূল্যায়ন করতে আইএমএফের একটি মিশন আজ রবিবার পাঁচ দিনের সফরে ঢাকায় আসছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তারা বলেছে, আইএমএফের মনেটারি অ্যান্ড ক্যাপিটাল মার্কেট (এমসিএম) ডিপার্টমেন্ট ৫-৯ মার্চ বাংলাদেশে একটি মিশন প্রস্তাব করছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রমতে, চলমান ডলার সংকটের সময় বাজেট সহায়তার গুরুত্ব অনেক। ঋণের জন্য বিশ্বব্যাংক ১২টি শর্ত দিয়েছিল। এর মধ্যে কিছু শর্ত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। যেমন- ন্যাশনাল ট্যারিফ পলিসির খসড়া ইতোমধ্যে তৈরি করা হয়েছে। খসড়াটি চূড়ান্ত করার বিষয়ে খুব শিগগির আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বব্যাংকের আরেকটি শর্ত ছিল- ইনকাম ট্যাক্সের ক্ষেত্রে অটোমেটেড চালান সিস্টেম চালু করা। ইতোমধ্যে এনবিআর তা কার্যকর করেছে। এ ছাড়া শর্তানুযায়ী, ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও তার দেওয়া ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্তে এ আইন সংশোধনের শর্ত দিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের শর্তগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি’ গঠন করা। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে বলে জানান অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা।