সায়েন্সল্যাবে ভবনে বিস্ফোরণ: নিহত ৩
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ মার্চ ২০২৩, ৮:৩৭:৪৯ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে একটি বাণিজ্যিক ভবনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শিরিন ম্যানশন নামে ওই ভবনে বিস্ফোরণের ফলে তিনতলার দেয়াল আংশিক ধসে পড়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন, শফিকুজ্জামান, আব্দুল মান্নান ও তুষার। এ ছাড়াও আহত অন্তত ১৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ধানমন্ডি মডেল থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তবে বিস্ফোরণের ঘটনায় নাশকতা বা বিস্ফোরকের কোনও আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে এটি একটি দুর্ঘটনা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ফেরার সময় দুপুর আড়াইটার দিকে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণের ঘটনাটি নাশকতা নয়, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি এটি একটি দুর্ঘটনা। এই বিস্ফোরণ বিভিন্ন কারণেই ঘটতে পারে, সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’ ঘটনাস্থলে স্পিøন্টার, বিস্ফোরক কিংবা নাশকতার কোনও আলামত মিলেছে কিনা জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, ‘এখনও তেমন কিছু পাওয়া যায়নি।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে আমরা কমিটি করে দেবো। তদন্ত কমিটি ফায়ার সার্ভিস এবং ঘটনাস্থলে কাজ করা অন্য এক্সপার্টদেরও মতামত নেবে। তারপর তারা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে।’
এর আগে রোববার সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ভবনটি আংশিক ধসে পড়ে ও আগুন লেগে যায়। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের চেষ্টায় সকাল ১১টা ১৩ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
তিনতলা এই ভবনটির নিচতলা ও দ্বিতীয়তলায় বেশ কয়েকটি কাপড়ের দোকান রয়েছে। এছাড়াও এর পাশেই সুউচ্চ আবাসিক ভবন ও প্রিয়াঙ্গন শপিং মল রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে পুরো এলাকায় গ্যাসের তীব্র গন্ধ ভেসে আসে। বিস্ফোরণে দেয়ালের ইট ও কাঁচ ছিটকে সড়কে পড়ে। এতে ফুটপাতে থাকা পথচারী ও সিএনজিচালকসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় তিন জনকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী পপুলার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে এ ঘটনায় আহত হয়ে ১৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এরমধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিচ্ছেন ছয় জন ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন ছয় জন। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।