ক্বীনব্রিজ এলাকায় ফের অভিযান
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ মার্চ ২০২৩, ৭:৪৯:৪২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: নগরীর ক্বীনব্রিজ এলাকায় পুনরায় অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান চালালো তারা। এরআগে রোববার একই ধরনের অভিযান চালানো হয়।
এই অভিযানে ক্বীনব্রিজের নিচ থেকে সার্কিট হাউজের সামন হয়ে কালিঘাট অবধি সকল অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ এবং অবৈধভাবে পার্কিং করে রাখা যানবাহন সরিয়ে দেওয়া হয়। অভিযানের নেতৃত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল ইসলাম জানান, তাদের এই অভিযান অব্যহত থাকবে। এসময় তিনি বলেন সুন্দর নগরী আমাদের সবার প্রত্যাশা। শুধু আইন প্রয়োগে তা সম্ভব নয়। তাই এক্ষেত্রে এলাকার জনগণ, চালক ও ব্যবসায়ী সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সবার সহযোগিতা ছাড়া এই এলাকা সুন্দর করা সম্ভব নয়। তবে যারা আইন মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে প্রশানস কঠোর হবে। এতে ছাড় দেওয়া হবে না।
এরআগে সোমবার সকল ১১টায় দ্বিতীয় দিনের মতো জেলা প্রশাসন, সিলেট সিটি কর্পোরেশন ও এসএমপির ট্রাফিক বিভাগের যৌথ অভিযান শুরু হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল ইসলাম ও নিশাত আনজুম। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। এ অভিযান পরে বন্দরবাজার ও জিন্দাবাজার হয়ে চৌহাট্টা পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়।
অভিযানে ক্বীনব্রিজের মোড় থেকে সার্কিট হাউজের সামন হয়ে কালিঘাট পর্যন্ত সড়কে অবৈধভাবে পার্ক করা সকল যানবাহন সরিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া এই এলাকায় সুরমা নদীর তীরবর্তী ওয়াকওয়ে দখল করে রাখা চটপটি, ফুচকার, চানাচুরের ও চায়ের দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হয়।
অভিযান প্রসঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল ইসলাম বলেন, গত ২ মার্চ জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন ও এসএমপির সাথে সিলেট জেলার বাস, ট্রাক মালিক ও শ্রমিক সমিতির সভা হয়। সভায় জনশৃঙ্খলা রার্থে বিভিন্ন বিষয় ওঠে এসেছিল। একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সিলেট পাইলট স্কুল একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান, সার্কিট হাউজ, ক্বীনব্রিজ, আলী আমজাদের ঘড়ি সবই গুরুত্বপূর্ণ। এই এলাকা থেকে চৌহাট্টা পর্যন্ত এলাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, প্রধান সড়কের মধ্যে পড়ে, প্রধান প্রধান স্থাপনাও আছে এখানে। এই জায়গাগুলোতে আমরা অযাচিত পার্কিং দেখতে পাই, বিশেষ করে ট্রাক। ট্রাকের অবৈধ পার্কিং রোধ করা, জনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং এই সুন্দর শহরকে আরো বেশি স্বাচ্ছ্যন্দময় করে তোলা, জনসাধারণের চলাচলে যাতে বিঘ্ন না ঘটে, ছাত্রছাত্রীরা যাতে সময়মতো যাতায়াত করতে পারে এই ল্েয জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে সিটি কর্পোরেশন ও এসএমপির উদ্যোগে রোববার থেকে অভিযান শুরু হয়েছে।
প্রায় সময়ই এরকম অভিযান হয়। কিন্তু অভিযানের কিছু সময় পরে ফের অবৈধ পার্কিং হয়, অবৈধ দোকানপাট বসে যায়। কখনও কখনও অভিযানের বিরুদ্ধে আন্দোলনও হয়। এ প্রসঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল ইসলাম বলেন, আন্দোলন একটি রাজনৈতিক, গণতান্ত্রিক অধিকার। যে কেউ এটা করতে পারেন। কিন্তু আমরা ল এনফোর্সমেন্ট ও ল ইমপ্লিমেন্টেশন প্রতিষ্ঠান। আমরা আমাদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। যারা পুনরায় পার্কিং করবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করবো এই অভিযান ধারাবাহিকভাবে করতে, যাতে মানুষ সচেতন হয়।
তিনি বলেন কালিঘাট এলাকা অর্থনৈতিক েেত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেশি। ফলে শুধু আইন প্রয়োগ করে এ এলাকার যানজট নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এেেত্র ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষ, চালক সবার সচেতনতা ও সহযোগিতা প্রয়োজন।