পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির সিলেট বিভাগীয় ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ মার্চ ২০২৩, ৮:৪১:৫৭ অপরাহ্ন
মাধ্যমিক ও উচ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইডিপি)-এর অন্তর্ভুক্ত ‘পাঠাভ্যাস কর্মসূচি’র সিলেট বিভাগের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সিলেট সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো: মজিবর রহমান এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি মো: আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক উইংয়ের পরিচালক ও স্ট্রেংদেনিং রিডিং হ্যাবিট অ্যান্ড রিডিং স্কিলস অ্যামাং সেকেন্ডারি স্টুডেন্টস স্কিনের পরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন।
কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট নাগরিক গড়ে তুলতে হবে। স্মার্ট নাগরিক গড়ে তোলার জন্য পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে শিশুরা আনন্দের মধ্যদিয়ে কর্মসূচির বইগুলো পড়ে তাদের শৈশব সুন্দর করে গড়ে তুলতে পারবে।
প্রধান বক্তার বক্তৃতায় সাবেক সচিব ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি মো: আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মাধ্যমে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে দিতে হবে যেন সকল শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচির সুফল পায়।
কর্মশালার শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির কো-টিম লিডার জনাব শামীম আল মামুন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির ডেপুটি টিম লিডার (প্রোগ্রাম) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ।
এই কর্মশালার মাধ্যমে সিলেট বিভাগের ৩০টি উপজেলার এক হাজার ছেচল্লিশটি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির বইপড়া কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এর ফলে আনুমানিক এক লক্ষ সাতাত্তর হাজার আটশত বিশ (১৭৭,৮২০) জন ছাত্রছাত্রী স্কিমের তালিকাভুক্ত বইগুলো পড়ে নিজেদের সমৃদ্ধ, মানবিক ও মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে।
কর্মশালায় সিলেট বিভাগের ৪টি জেলার জেলা শিক্ষা অফিসার, কর্মসূচিভুক্ত ৩০টি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারগণ অংশগ্রহণ করেন। বিজ্ঞপ্তি