জৈন্তায় ব্যবসায়ী হত্যা ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ মার্চ ২০২৩, ৯:৩১:৪৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : জৈন্তাপুরে ইউনুস আলী (৩৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক মো. শাহাদাৎ হোসেন প্রামাণিক এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত কয়েছ আহমদ জৈন্তাপুর উপজেলার উপর শ্যামপুর গ্রামের কুতুব আলীর ছেলে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর গ্রামের ফয়জুর করিমের ছেলে রাসেল আহমদ, একই গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে জুয়েল আহমদ ও উপর শ্যামপুর গ্রামের মাহমুদ আলী হুরু মিয়ার ছেলে বিলাল আহমদ বেলাল।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েছ আহমদ উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে ৭ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে আপিল করতে পারবেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর জৈন্তাপুরের হরিপুর গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে ও হরিপুরবাজারের ব্যবসায়ী ইউনুস আলী তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন। এর পরদিন পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে হরিপুর গ্রামের জুয়েল আহমদ (২২), লামাশামপুর গ্রামের রাসেল আহমদ (২৫), বেলাল আহমদ (২২), কয়েছ আহমদ (২৬) নামের চার যুবককে আটক করে। এদের মধ্যে জুয়েল কলেজছাত্র ও বাকি ৩ জন পেশায় গাড়িচালক। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিখোঁজের দুইদিন পর পাহাড়ের চূড়ায় গর্ত থেকে তাঁর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ লাশ শনাক্ত করেন।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে জৈন্তাপুর থানায় এজাহারনামীয় ৫ জনসহ আরো অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্তের পর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমদ আদালতে ২১ জনের সাক্ষ্য নিয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে তদন্তের জন্য মামলাটি পিবিআইতে যায়। ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি ৩১ জনের সাক্ষ্য নিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন পিবিআইর পরিদর্শক বিনীত কান্ত নাথ।
২০১৯ সালে মামলাটি অত্র আদালতে বিচারের জন্য স্থানান্তর হলে দায়রা ৫১৭/’১৯ মূলে রেকর্ড করা হয়। এরপর ২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি অত্র মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারকার্য শুরু হয়। দীর্ঘ শুনানি ও ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালতের বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।