সিলেট পাউবোর খাল খননে বাঁধা, চাঁদা দাবি
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ মার্চ ২০২৩, ৮:৫৫:০৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট সদর উপজেলার জৈনকার হাওরে ৪ কিলোমিটারের মধ্যে তিন কিলোমিটার খনন করা হলেও বাকি কাজ করতে পারছেন না ঠিকাদার। এ ঘটনায় খাল খনন কার্যক্রমে বাধা দান ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্য সহকারী মো. মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে এসএমপির জালালাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে স্থানীয় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন, সিলেট সদর উপজেলার শিবেরবাজারের উমাইরগাঁও গ্রামের গোলাম কিবরিয়া, জাহান উদ্দিন, আজির উদ্দিন, আফতাব উদ্দিন, ছইদুর রহমান, হেলাল আহমদ, মনির উদ্দিন, শফিক মিয়া, দিলওয়ার হোসেন, আব্দুল মান্নান, হেলাল উদ্দিন ও বদর উদ্দিন।
এদিকে খাল খননে বাধা দান ও চাঁদাবাজির মামলা হলেও কোন গ্রেফতার না থাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ঠিকাদার নিরাপত্তাহীনতার কারণে কাজ করতে পারছেন না। ফলে বর্ষা মৌসুমের আগে ৪ কিলোমিটার খাল খননের কর্মসূচি বাস্তবায়িত না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মামলা এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সদর উপজেলার জৈনকারকান্দি হতে ভাদেশ্বর নদী পর্যন্ত জৈনকার খাল খনন কাজ বাস্তবায়ন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ৪ কিলোমিটার খালের মধ্যে ইতোমধ্যে ৩ কিলোমিটার খনন সম্পন্ন হয়েছে। চলমান কাজ পরিদর্শনেগত ৮ ফেব্রুয়ারী বিকেলে সরেজমিনে পরিদর্শনে যান পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। এ সময় স্থানীয় একদল লোক লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কাজে বাধা দেয়। খননকাজে ব্যবহৃত এক্সাভেটর ভাংচুর ও ড্রাইভারকে মারধর করা হয়। পরে তাৎক্ষনিক খাল খনন কাজ বন্ধ রাখা হয়।
এজাহারে বাদী আরো উল্লেখ করেন, বিবাদীরা সরকারী খাল খননের কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় কাজটি সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। বিবাদীদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ও হুমকিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের শ্রমিকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে তদন্তকারী কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার এসআই মোহাম্মদ মাহবুব আলম মন্ডল বলেন, এখনো কোন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।