ভারত থেকে পাইপলাইনে জ্বালানী তেল আমদানি শুরু ১৮ মার্চ
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ মার্চ ২০২৩, ৯:১১:৫১ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক:
ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের মাধমে ভারত থেকে বাংলাদেশে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত জ্বালানি তেল আমদানি শুরু হচ্ছে ১৮ মার্চ। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে ভার্চুয়ালি দিনাজপুরের পার্বতীপুরে স্থাপিত এ পাইপলাইনের রিসিভ টার্মিনালে জ্বালানি তেল পাঠানোর কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। এ কাজের অগ্রগতি দেখতে শনিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ পার্বতীপুরে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে যান।
পরিদর্শন শেষে প্রকল্পের পার্শ্ববর্তী ট্যাঙ্কলরি টার্মিনাল এলাকায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সমাবেশ আয়োজন করে। সমাবেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের ইতিহাসে প্রথম পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল আমদানি করা হচ্ছে। এটি প্রধানমন্ত্রীর সুদূরপ্রসারী চিন্তার ফল। দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি ও বিদ্যুৎ খাতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এ প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য। প্রকল্প চালু হলে আন্তর্জাতিক বাজার দরের চেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি তেল কেনার সুযোগ মিলবে। বর্তমানে পাইপলাইন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি প্রায় ৯৫ শতাংশ।
প্রকল্প পরিদর্শনের সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. খাইরুজ্জামান মজুমদার, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, অতিরিক্ত সচিব মো. হুমায়ন কবীর, বিপিসির চেয়াম্যান এ বি এম আজাদ, দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী, পার্বতীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইসমাঈল প্রমুখ।
২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী পাইপলাইন নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
মেঘনা অয়েল কোম্পানি জানায়, পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রতিবছর ভারত থেকে প্রায় ১ মিলিয়ন টন ডিজেল আমদানি করা যাবে। প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ আড়াই লাখ টন ডিজেল আমদানি করবে। ১৫ বছরের চুক্তি অনুযায়ী প্রতিবছর ডিজেল আমদানির পরিমাণ ৪ লাখ থেকে ৫ লাখ টন করে বৃদ্ধি পাবে।
পাইপলাইন স্থাপন প্রকল্প পরিচালক (পিডি) টিপু সুলতান বলেন, এ প্রকল্পের নির্মাণকাজ প্রায় ৯৫ ভাগ শেষ হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের নির্ধারিত সময়কাল ছিল ২০২০ থেকে ২০২২ সালের জুন মাস পর্যন্ত। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।