সুলতান ডাইনে কোনো সমস্যা পায়নি ভোক্তা অধিকার
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ মার্চ ২০২৩, ৮:২২:৩১ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: সুলতান ডাইনে রেস্টুরেন্টে কোনো ব্যতয় পায়নি ভোক্তা অধিকার সংরণ অধিদফতর। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরণ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত শুনানি শেষে এ কথা জানানো হয়। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ভোক্তা-অধিকার সংরণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এসব তথ্য জানান। রাজধানীর অভিজাত রেস্তোরাঁ সুলতান ডাইনের কাচ্চি বিরিয়ানিতে মাংস দেওয়া নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তার জেরে সেখানে চালানো অভিযান নিয়েই এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, “সুলতান’স ডাইনের বিষয়ে আমরা কোনো মতামত দিতে পারি না। কারণ আমাদের কাছে কোনো স্যাম্পল নেই। আমাদের কাছে টেস্ট করানোর সুযোগও নেই। এটি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপ টেস্ট করাবে। তাদের সঙ্গে কথা বললে আপনারা জানতে পারবেন।”
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অভিযান করে সেদিন আইন অনুযায়ী কোনো ব্যতয় পাইনি। আমরা অনেক রেস্টুরেন্টে অভিযান করে অনেক আইনের ব্যতয় পাই। কিন্তু সেদিন আমরা কিছুই পাইনি।’
জানা যায়, গত ২ মার্চ রাজধানীর গুলশানে একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সাত প্যাকেট সুলতান ডাইনের গুলশান শাখা থেকে কাচ্চি বিরিয়ানি কিনে আনেন। সেই বিরিয়ানি খাওয়ার এক পর্যায়ে খাসির মাংস নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হলে তারা ওই শাখার নম্বরে কল করে। পরবর্তীতে দুজন লোক নতুন খাবারের প্যাকেট নিয়ে আসে।
ওই কাস্টমাররা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এসে অভিযোগ করে বলেন, ‘মাংসগুলো খাসি বাদ দিয়ে কোনো জন্তু জানোয়ারের মনে করে তাদের ফোন করা হয়। কারণ মাংসের হাড়গুলো ছিল অতিরিক্ত চিকন। যা কুকুর কিংবা বিড়ালের হতে পারে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।’
তারা অভিযোগ করে বলেন, এক পর্যায়ে তারা টাকা অফার করেন। না পেরে তারা একটি পত্রিকার ‘কথিত সাংবাদিকের’ ভয় দেখান। ওই সাংবাদিক ফোন করে থ্রেটও করেন- যা ভুক্তভোগীরা ফেইসবুকে লেখেন। এছাড়া কাস্টমাররা বিরিয়ানি, মাংস, হাড় এবং কথোপকথনের ছবি ও ভিডিও ফেইসবুকে ছাড়েন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার পর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. মঞ্জুর শাহরিয়ারের নেতৃত্বে ৯ মাচ একটি দল সুলতান ডাইনের গুলশান শাখায় অভিযানে যায়।