গ্রীসে মৃত্যুবরণকারী আফছরের শান্তিগঞ্জে দাফন

শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার গ্রিস প্রবাসী আফছর মিয়া (৪১) এর মরদেহ তার প্রকৃত স্বজনদের কাছে পৌঁছেছে। আফছর মিয়া দামোধরতপী গ্রামের মৃত জমসিদ আলীর বড় ছেলে। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তান রেখে গেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকাস্থ বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক থেকে স্বজনদের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেয়া হয়। মঙ্গলবার ভোর রাতে আফছর মিয়ার লাশ বাড়ীতে এসে পৌঁছলে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। সকাল ১০ টায় দামোধরতপী মসিজেদ জানাজা শেষে স্থানীয় কবরে দাফন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দামোধরতপী গ্রামের মরহুম জমসিদ আলীর বড় ছেলে আফছর মিয়া (৪১) দীর্ঘদিন গ্রীসে বৈধভাবে বসবাস করছিলেন। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি লিভার ক্যান্সার জনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্রিসের এথেন্সের সুতরি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। গত ১০ মার্চ আফছর মিয়ার মরদেহ বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। নির্ধারিত তারিখে আফছর মিয়ার স্বজনেরা ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন লাশ নিতে। কফিনের গায়ে আফছর মিয়ার নাম দেখে শুক্রবার রাতেই তারা সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের দামোধরতপী গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে যান স্বজনেরা। কিন্তু বাড়িতে নিয়ে কফিন খুলে দেখেন মরদেহ অন্য একজনের। পরে দূতাবাসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ও-ই লাশ মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীর জালাল মিয়ার। পরে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের মাধ্যমে ঢাকাস্থ বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কে জালাল মিয়ার লাশ ফেরত দেয়া হয়।

শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খালেদ চৌধুরী বলেন, গ্রীসে মৃত্যুবরণকারী প্রবাসী আফছর মিয়ার লাশ তার বাড়ীতে এসে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় গ্রাম্য কবরস্থানে মরদেহ সমাহিত করা হয়েছে।