আতিয়া মহলে জঙ্গি অভিযান, মামলার রায় ৫ এপ্রিল
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ মার্চ ২০২৩, ৮:৪২:৩৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার শিববাড়ীতে আতিয়া মহলে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের সঙ্গে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। এরপর আদালত মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন। এ আদেশ দেন সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ নূরুল আমীন বিপ্লব।
এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) অভিযুক্ত তিন সদস্য আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
তারা হলেন- বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারি এলাকার জহুরুল হক ওরফে জসিম (২৯), তার স্ত্রী মোছা. আর্জিনা ওরফে রাজিয়া সুলতানা (২১) এবং মো. হাসান (২৮)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি মুমিনুর রহমান বলেন, ২৭ ফেব্রুয়ারী শুনানির পর মঙ্গলবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেছেন। আগামী ৫ এপ্রিল মামলাটির রায় ঘোষণা করা হবে। মামলাটিতে ৩৩ সাক্ষীর মধ্যে ২১ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তারা যথাযথভাবে সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করতে সক্ষম হয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
২০১৭ সালের ২৩ মার্চ দিবাগত রাত থেকে আতিয়া মহলে জঙ্গিবিরোধী অভিযান শুরু হয়। অভিযানে র্যাব, পুলিশ, সোয়াত, সিআরটির পর সেনাবাহিনীর কমান্ডো দল অংশ নেয়। সেনাবাহিনী পরিচালিত ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ শেষে ভবনের ভেতর থেকে এক নারীসহ ৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। অভিযান চলাকালে আতিয়া মহলের অদূরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের তৎকালীন প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ, দুই পুলিশ সদস্যসহ মোট ৭ জন নিহত হন।
এদিকে আতিয়া মহলে জঙ্গিবিরোধী অভিযান শেষে ৩টি মামলা করা হয়। মামলার প্রথম দিকে পুলিশ তদন্ত করলেও পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব পায়। ২০১৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে পিবিআই। অভিযোগপত্রে ৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
ওই বছরই চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পৃথক জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালিয়ে জহুরুল ও তার স্ত্রী আর্জিনাকে এবং কুমিল্লার চান্দিনা থেকে মো. হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৯ সালের জানুয়ারীতে তাদের আতিয়া মহলের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। অন্যদিকে বোমা বিস্ফোরণ ও হত্যার ঘটনায় হওয়া দুটি মামলায় ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই আদালতে চ‚ড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই। প্রতিবেদনে মামলা নিষ্পত্তির আবেদন করা হয়।