ডেড লাইন দিয়ে হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করা সম্ভব নয় —- পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক

দিরাই প্রতিনিধি:

কোন ডেড লাইন দিয়ে হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু ও শেষ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। তিনি বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বরাম হাওরের তুফানখালি, বোয়ালিয়া ও চাপতির হাওরের বৈশাখি বাঁধ পরিদর্শনকালে তিনি এ সব কথা বলেন।

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, পুরো বিশ্ব আজ অর্থনেতিক মন্দায় যাচ্ছে, সেখান থেকে বাংলাদেশও রেহাই পায়নি। তারপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে এখনও নতুন প্রকল্প পাশ হচ্ছে এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন চলমান আছে। তিনি বলেন, সুনামগঞ্জের হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। শতভাগ কাজ শেষ হতে আরোও কতদিন সময় লাগবে সেটা নির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সবসময় ডেড লাইন দিয়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়না, ভবিষ্যতে ও সম্ভব হবেনা।

এদিকে, নির্ধারিত সময় পেরিয়ে বর্ধিত মেয়াদেও কাজ শেষ করতে না পারার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রাকৃতিক ব্যাপারকে দায়ী করলেন এ প্রতিমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সব থেকে বেশি ফসল উৎপাদন হয় সুনামগঞ্জ থেকে। বিশাল হাওরের ফসল রক্ষার জন্য টেকসই বাঁধ নির্মাণ ও নদী খনন করতে হবে। নদী খনন প্রকল্প আমরা হাতে নিয়েছি। নদীকে নিয়ে সমীক্ষার কাজটি প্রায় শেষের দিকে। আগামী মাসের ১০ তারিখে সমীক্ষা প্রতিবেদনটি গেলে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হবে। সুনামগঞ্জের ১৯ টি নদী খাল খনন করতে পারলেই ভবিষ্যতে বাঁধের পিআইসি নিয়ে লাফালাফি করতে হবেনা। শক্তিশালী বাঁধ নির্মাণ করা হবে। বিশাল হাওর এলাকায় তড়িঘড়ি করে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ করলে টেকসই না হয়ে বুমেরাং হতে পারে।

হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানম, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ। এদিকে, দিরাই শাল্লা আসনের সংসদ সদস্য জয়া সেনগুপ্তা দিরাই’র বাসভবনে অবস্থান করলেও অদৃশ্য কারণে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর এ সফরে সাথে ছিলেননা।