জুনের মধ্যেই সিসিক নির্বাচন
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ মার্চ ২০২৩, ১১:২৭:৩৮ অপরাহ্ন
মধ্য এপ্রিলে তফসিল, ইভিএমে ভোট
স্টাফ রিপোর্টার : সিটি নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরী করেছে নির্বাচন কমিশন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিন ধাপে পাঁচটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। আগামী মে থেকে জুনের মধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশনের ভোট হবে। একইসময়ে গাজীপুর, রাজশাহী, বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশনেরও ভোট হবে। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে অর্থাৎ রমজানেই তফসিল ঘোষণা করা হবে।
বুধবার নির্বাচন কমিশনের সভায় এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এসব নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারও হতে পারে বলে আভাস মিলেছে।
ইসি সচিব বলেন, ‘নির্বাচন হবে জুনের পরে। কোনটা কখন হবে তখন জানাব। মে থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। এইচএসসি পরীক্ষা হবে সম্ভাব্য ৭ জুলাই থেকে। সে জন্য এসএসসি পরীক্ষা শেষে ২৩ মে থেকে ২৯ জুনের মধ্যবর্তী সময়ের তিন ধাপে পাঁচটি সিটির ভোট করার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
ইসি সচিব জানান, পাঁচটি সিটি নির্বাচন সংসদ নির্বাচনের আগে করতে হবে। এপ্রিলে পবিত্র রমজান শেষে এসএসসি পরীক্ষা ২৩ মে পর্যন্ত চলার কথা, জুনে কোরবানির ঈদ। ঈদুল আজহার আগে এবং এসএসসি পরীক্ষা শেষে এর মধ্যবর্তী সময়ে এ পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তফসিলের সময় কোনটা কোন তারিখে হবে, তা বিস্তারিত জানানো হবে। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে উল্লেখ করেন সচিব।
ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ইসির রোডম্যাপের আলোকে কোন কাজে কতটুকু অগ্রগতি, তা কমিশনকে জানানো হয়েছে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, নতুন দল নিবন্ধন চলমান, নতুন সীমানার খসড়া প্রকাশ, পর্যবেক্ষক সংস্থার আবেদন যাচাই-বাছাই চলছে।
আগামী নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ১ লাখ ১০ হাজার মেশিনকে মেরামত করতে হবে। এগুলো মেরামত করে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার করতে আপ্রাণ চেষ্টা করবে ইসি। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে কতটি ইভিএম কার্যক্ষম ও কতটি আসনে ইভিএম ব্যবহার হবে, তা চূড়ান্ত করা হবে। এটা কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ে অর্থ ছাড়ে চিঠি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
সর্বোচ্চ ৬০ থেকে ৭০টি আসনে সম্ভব কি না, তা জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘সংখ্যা নির্ভর করবে ইভিএমের ওপর। যেগুলো আছে, এর মধ্যে কতগুলোকে ব্যবহারযোগ্য করে তুলতে পারব, তার ওপর নির্ভর করছে কতটি আসনে ইভিএমে ভোট হবে। আমাদের সক্ষমতা কমিশন সব সময় বলেছে, ৭০ থেকে ৮০ আসনে সর্বোচ্চ ইভিএম ব্যবহার করা যাবে। এটা আপ্রাণ চেষ্টা করা হবে, এ সিদ্ধান্ত থেকে আমরা সরে আসিনি।’
সচিব জানান, যত দূর সম্ভব বেশিসংখ্যক আসনে ইভিএমে ভোট করা হবে। নির্বাচনী এলাকার ভোটারসংখ্যা একেক জায়গায় একেক রকম। যদি ছোট এলাকা নেওয়া যায়, তাহলে বেশি আসন নেওয়া যাবে। বড় এলাকা হলে কম আসনে ইভিএম করতে হবে।