৬ হাজার নারীকে ভুয়া ভ্যাকসিন!
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ মার্চ ২০২৩, ৮:৪২:২১ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : দেশে জরায়ু ক্যান্সারের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ভ্যাকসিন না নিলে যে কারও হতে পারে এই মরণঘাতী রোগ। এমন প্রচারণা চালিয়ে গত দুই বছর ধরে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৬ হাজার নারীকে জরায়ু ক্যান্সারের প্রতিষেধক হিসেবে ভুয়া ভ্যাকসিন দিয়েছে একটি চক্র। এতে একদিকে যেমন কিশোরীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে চক্রটি হাতিয়েও নিয়েছে লাখ লাখ টাকা।
এমন এক চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তাররা হলেন সাইফুল ইসলাম শিপন, মো. ফয়সাল আহম্মেদ, মো. আল-আমিন, মো. নুরুজ্জামান সাগর এবং মো. আতিকুল ইসলাম। এ সময় তাদের কাছ থেকে ভুয়া ভ্যাকসিন তৈরির যন্ত্রপাতি এবং বিভিন্ন ওষুধ উদ্ধার করা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, চক্রটি ক্যান্সারের প্রতিষেধক হিসেবে ‘জেনেভ্যাক-বি’ নামে আমদানিনিষিদ্ধ হেপাটাইটিস-বি ভ্যাকসিন দিচ্ছে। এটি ভারত থেকে অবৈধ পথে মাত্র ৩৫০ টাকায় নিয়ে আসা হয়। এর পর এর একটি দিয়ে ১০টি নকল জরায়ু ক্যান্সারের ভ্যাকসিন তৈরি করা হয় এবং প্রতি ভ্যাকসিন আড়াই হাজার টাকা করে বিক্রি করা হয়।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির প্রধান মো. হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, অবৈধপথে এই ভ্যাকসিন দেশে এনে বাড়িতে মজুত করতেন সাইফুল। পরে তা কেরানীগঞ্জের হিমেলের কারখানায় জরায়ু ক্যান্সারের টিকা কারভ্যারিক্সের নকল অ্যাম্পুলে ১ মিলি করে ভরা হতো।
ডিবিপ্রধান বলেন, এই নকল ভ্যাকসিন ডা. এ আর খান ফাউন্ডেশন, আল নুর ফাউন্ডেশন, দক্ষিণখান, পপুলার ভ্যাক্সিনেশন সেন্টারের মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করা হয় ও বাজারজাত করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠান ঢাকা, গাজীপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পিং করে এসব নকল ভ্যাকসিন দিয়ে যাচ্ছিল। জড়িতদের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ভ্যাকসিন নিয়ে ভুক্তভোগী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, এই ভ্যাকসিন নেওয়ার পর মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ইনফেকশন হয়েছে। দুই মাস হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল।