বিদেশি শ্রমিক আবেদনের কোটা অনুমোদন স্থগিত করলো মালয়েশিয়া
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ মার্চ ২০২৩, ৬:৫৪:৩১ অপরাহ্ন
মালয়েশিয়া প্রতিনিধি: মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিক আবেদনের কোটা অনুমোদন স্থগিত করেছে সরকার। বিদেশী কর্মী কর্মসংস্থান শিথিলকরণ পরিকল্পনা (পিকেপিপিএ) সহ বিদেশী কর্মীদের জন্য কোটার আবেদন এবং অনুমোদন পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
শনিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী ভি শিবকুমার। দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ফরেন ওয়ার্কার এমপ্লয়মেন্ট রিল্যাক্সেশন প্ল্যানে (পিকেপিপিএ) বিদেশি কর্মীদের জন্য কোটার আবেদন ও অনুমোদন আজ থেকে অর্থাৎ ১৮ মার্চ থেকে পরবর্তী তারিখ ঘোষণা না করা পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত বিভিন্ন সেক্টর থেকে বিদেশী কর্মীদের জন্য মোট ৯৯৫,৩৯৬টি কর্মসংস্থান কোটা মন্ত্রণালয় অনুমোদন করার পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফরেন ওয়ার্কার এমপ্লয়মেন্ট রিল্যাক্সেশন প্ল্যানের (পিকেপিপিএ) মাধ্যমে উৎপাদন, নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ, কৃষি এবং পরিষেবা খাতে কোটা অনুমোদনের সংখ্যা বিবেচনায় নেয়া হয়। এখন পর্যন্ত বিদেশি শ্রমিকের জন্য যে সংখ্যক কোটা অনুমোদন দেয়া হয়েছে, এর ফলে গুরুত্বপূর্ণ খাতসহ শিল্পকারখানায় এসব কর্মীদের দিয়ে শ্রম চাহিদা মেটানো সক্ষম বলে আশা করছেন মানবসম্পদ মন্ত্রী।
এছাড়াও, নিয়োগকর্তারা যাতে বিদেশী শ্রমিকদের অবিলম্বে প্রবেশের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করতে কোটার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কর্মীদের নিয়োগের প্রক্রিয়া ও বিদেশী শ্রমিকদের অবিলম্বে প্রবেশে দ্রুততর করার জন্য অনুমোদনপ্রাপ্ত সকল নিয়োগকর্তাকে অনুরোধ করেছেন মানবসম্পদ মন্ত্রী।
এদিকে, বাংলাদেশ থেকে কর্মী যাওয়ার সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। গত ৫ মার্চ পর্যন্ত ১ লাখ ২১ জন কর্মী গিয়েছেন মালয়েশিয়া। এ ছাড়া ৫ মার্চ পর্যন্ত জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো-বিএমইটি থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৫০০ জনকে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এখন প্রতিদিন হাজারের বেশি কর্মীর ফ্লাইট দিতে পারছে অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো।
অন্যদিকে, গত ৫ মার্চ পর্যন্ত মালয়েশিয়ার নিয়োগদাতারা বাংলাদেশ থেকে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৪৭৩ জন কর্মী নিতে সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছেন। দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের জন্য এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ১৪ হাজার ৪৭৩ কোটা অনুমোদন দিয়েছে।