গ্রেপ্তারের সাড়ে ৩ ঘণ্টায় নায়িকা মাহির জামিন
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ মার্চ ২০২৩, ৮:১৪:১২ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার সন্ধ্যায় জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নায়িকা মাহিয়া মাহির পারিবারিক আইনজীবী। কারাগারে পাঠানোর সাড়ে তিন ঘণ্টা পর এই জামিন পেলেন মাহি। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন মাহির জামিন মঞ্জুর করেন।
প্রেগনেন্সি ও সেলিব্রেটি বিবেচনায় আদালত এ আদেশ দিয়েছেন বলে জানান মাহির আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনোয়ার শাহাদাত সরকার। তিনি বলেন, তার মক্কেল আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলেই মামলা হওয়ার পরও দেশে চলে এসেছেন। তবে মাহিকে গ্রেপ্তার অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশের সদস্য এবং বিমানবন্দরে কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, মাহি বোরকা পরে বিমান থেকে নেমেছিলেন। মামলার বিষয়টি তিনি আগেই জেনেছিলেন। বিমানবন্দরে নেমে গ্রেপ্তার হতে পারেন সেই আশঙ্কা থেকে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি এড়াতে ছদ্মবেশ নিয়েছিলেন।
এরআগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শনিবার সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাহিকে গ্রেফতার করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। পরে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে সেখান থেকে তাকে সরাসরি গাজীপুর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পাঠানো হয়। আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে গাজীপুর কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
শুক্রবার রাতে মারধর, চাঁদাবাজি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রাকিব সরকারের বিরুদ্ধে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই দুই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সম্প্রতি ওমরা পালন করতে স্বামীর সঙ্গে সৌদি আরব যান মাহি। সেখান থেকে দেশে পৌঁছালে বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বামী রাকিব সরকার পলাতক রয়েছেন। মারধর, চাঁদাবাজি ও জমি দখলের অভিযোগে তাদেরসহ ২৮ জনকে আসামি করে স্থানীয় ইসমাইল হোসেন বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া বাসন থানার এসআই মো. রোকন মিয়া বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাদের (মাহি ও রাকিব) বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
সৌদি আরব থেকে শুক্রবার সকালে ফেইসবুক লাইভে স্বামী রাকিব সরকারের গাড়ির শোরুমে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ করেন মাহি। তিনি লাইভে বলেন- তার স্বামীর গাড়ির শো-রুম সনিরাজ কার প্যালেসের গেট ভেঙে ইসমাইল হোসেন ও মামুন সরকারের নেতৃত্বে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়।