প্রাক-মৌসুমী বৃষ্টিতে সিলেটে স্বস্তি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ মার্চ ২০২৩, ৯:১৬:৫৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সিলেটে রোববার দিনভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। এতে তাপমাত্র কিছুটা হ্রাস পেয়েছে এবং জনজীবনে কিছুটা ছন্দপতন হয়েছে। তবে এ বৃষ্টি ফসলের জন্য স্বস্তি বলছেন কৃষকরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এটি প্রাক-মৌসুমী বৃষ্টি। বৃষ্টি আজও অব্যাহত থাকতে পারে। কাল ২১ মার্চ থেকে এই প্রবণতা কমার সম্ভাবনা আছে। রোববার সিলেটের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। বৃষ্টির পরিমাণ ২৫ মিলিমিটার। এছাড়া কাল ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হ্রাস পায়।
বৃষ্টিবহুল দিনে সিলেট নগরে অন্যদিনের তুলনায় যান চলাচল কম দেখা যায়। ব্যস্ততম বন্দরবাজার, জিন্দাবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় মানুষের আনাগোনাও কম লক্ষ্য করা যায়। তবে অফিস-আদালতে স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত ছিলো।
এদিকে, সিলেটের বোরো প্রধান এলাকায় এ বৃষ্টি খুবই উপকারী ছিলো বলে জানান কৃষকরা। শীলা বৃষ্টি না হওয়ায় ফল-ফসলের কোন ক্ষতি হয়নি। সুনামগঞ্জে বিভিন্ন উপজেলার প্রতিনিধি হাওরের একাধিক কৃষকের সাথে কথা বললে তারা জানান, আপাতত দুঃশ্চিন্তা কেটেছে। এই মুহুর্তে বৃষ্টির খুবই দরকার ছিলো। আরও আগে হলে ভালো হতো। তবু আমরা খুশি। ধানে নতুন শীষ বেরোচ্ছে। বৃষ্টি পাওয়ায় এখন দ্রুত বেরিয়ে যাবে। এই বৃষ্টিতে কৃষক ও কৃষির অনেক উপকার হবে। শুধু ধান নয়, সব রকমের উৎপাদিত শস্যের খুব উপকার হবে এ বৃষ্টিতে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, এই ঝড়, বৃষ্টি, বজ্রপাত অব্যাহত থাকতে পারে। তবে কাল ২১ মার্চ থেকে কমার সম্ভাবনা রয়েছে। আর যেহেতু তাপমাত্রা কমে এসেছে, তাই শিলাবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
তিনি বলেন, ‘এটা প্রাক-মৌসুম বৃষ্টিপাত। সাধারণত এই সময় গড়ে ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। তবে এই সময় বৃষ্টির সঙ্গে ঝড় অথবা দমকা হাওয়া থাকে। কিছু কিছু জায়গায় মাঝারি ধরণের ভারী অথবা ভারী বৃষ্টি হতে পারে।