সিলেট ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারে ভারতকে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ মার্চ ২০২৩, ৯:৩২:০৬ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক:ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে আঞ্চলিক যোগাযোগ জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করে পারস্পারিক স্বার্থে ভারতের কাছে চট্টগ্রাম ও সিলেট বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত চাইলে আমাদের চট্টগ্রাম ও সিলেট বন্দর ব্যবহার করতে পারে।
রোববার গভর্নিং কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন রাম মাধব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, এই অঞ্চলের যোগাযোগ বৃদ্ধি মানুষে-মানুষে যোগাযোগ বাড়াতে সহায়ক হবে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় রাম মাধবের মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে তার শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় রাম মাধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসামান্য আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়োসী প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে এবং আমি আশা করছি যে- ভবিষ্যতেও এই সম্পর্ক অব্যহত থাকবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মো. জিয়াউদ্দিন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
উল্লেখ্য যে, ওসমানী বিমানবন্দর ছাড়াও সিলেটে রয়েছে আরো ৩টি স্থলবন্দর। এগুলো হলো, তামাবিল, শেওলা ও বাল্লা স্থলবন্দর হবিগঞ্জ। এছাড়া সিলেটের সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ, জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বড়ছড়া, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর, কুড়িগ্রামের রৌমারী, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ধুমধুম, শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দর ঘোষণার বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে। ওদিকে, চট্রগামে রয়েছে বিশে^র অন্যতম বৃহৎ সমুদ্রবন্দর।