নিত্যপণ্যের সাথে এবার খেজুরেও আগুন

স্টাফ রিপোর্টার: আত্মশুদ্ধির মাস রমজান হলেও নিত্যপণ্য নিয়ে প্রতি বছর এ মাসে চিন্তায় পড়তে হয় মানুষকে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। রমজান শুরুর আগেই হু হু করে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। আজ বাদে কাল রাত থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। সারাবছরের তুলনায় রমজানে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় খেজুর ও মুড়ি। গত রমজানের তুলনায় এবার মান ভেদে খেজুরের দাম কেজিতে বেড়েছে আড়াইশো থেকে ৪শ টাকা। প্রতি কেজি মুড়িতে গতবছরের তুলনায় বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
গত বছরের আগস্টের পর থেকেই দফায় দফায় নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এখন আবার নতুন করে খেজুর ও মুড়ির দামও বেড়েছে। এসব পণ্য সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে।
কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কালমি মরিয়ম খেজুর প্রতি কেজি ৮শ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছরের রমজান মাসে ৫শ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক বছরে ৩শ ৫০ টাকা বেড়েছে প্রতি কেজিতে ।
এছাড়া, মাবরুম খেজুর ৮শ টাকা থেকে ৩শ টাকা বেড়ে ১১শ টাকা, আজোয়া খেজুর ২শ টাকা বেড়ে ৯শ টাকা, সৌদি মরিয়ম খেজুর ৩শ টাকা বেড়ে ১ হাজার টাকা, মেডজুল খেজুর ৪শ টাকা বেড়ে ১৪শ টাকা, বরই খেজুর ২শ ৫০ টাকা বেড়ে ৪শ ৫০ টাকা, বারারি ৬শ থেকে ১শ ৫০ টাকা বেড়ে ৭শ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে দেশি খোলা মুড়ি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত রমজানে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা ছিল। প্যাকেট আল্ট্রা জেষ্টা মুড়ি ১শ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত রমজানে ১শ টাকা কেজি ছিল।
আব্দুর রহিম নামে এক ক্রেতা বলেন, রমজান মাসে খেজুর ছাড়া চলে না। কিন্তু এ বছর এই সাহস পাচ্ছি না। খেজুর নিয়ে চিন্তায় পরে গেছি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রমজান মাসে মানুষকে কম দামে খাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো। আমাদের দেশে এর উল্টো, রমজান এলেই বেশি দামে কিনে খেতে হয়। হুমায়ুর কবির নামে কদমতলীর এক ব্যবসায়ী বলেন আমাদের পাশেই সিলেটের ফলের সবচেয়ে বড়ো আড়ৎ। সারাবছরই আমরা এখানে অন্যান্য ফলের সাথে খেজুর দেখি। কিন্তু রোজা এলেই হঠাৎ খেজুরের দাম কেনো বাড়ে বুঝি না। তিনি বলেন, আমরা যেহেতু দোকানেই ইফতার করি বেশি তাই রমজানে খেজুর ও মুড়ি চলে বেশি। প্রতিবার অন্য পণ্যের সাথে এই দুই পণ্যের দামও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রতিবছর এরকম কেন হয় বুঝি না। নগরীর বন্দরবাজারের হোসাইন ফ্রুটসের ফল বিক্রেতা মো. মখন জানান খেজুরের দাম কিছুটা বেড়েছে। আমরা বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে তাই বেশি দামে বিক্রি করছি। কেন বেড়েছে এব্যাপারে কিছু জানা নেই।