অস্থির বাজার
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ মার্চ ২০২৩, ৮:৪৪:০৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি থেকে শুরু করে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও প্রায় এক মাস থেকে বলে আসছেন, এবার রমজানে কোনো জিনিসের দাম বাড়বে না। যথেষ্ট খাদ্যপণ্য সরবরাহ রয়েছে। কিন্তু রমজান শুরুর একদিন আগেই বাজারে আগুন লেগে গেছে। ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজির বেগুনের দাম এখন সেঞ্চুরি হয়ে গেছে। শসার কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খেজুরের দাম তো আগেই বেড়েছে। তবে আপেলসহ অন্যান্য ফলের দাম এখনো বাড়েনি। আগের দামেই বিক্রি করা হচ্ছে। বুধবার বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্ট বিক্রেতারাদের সঙ্গে কথা বলে এমনই চিত্র পাওয়া গেছে।
হঠাৎ করে এসব পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা খুবই ক্ষুদ্ধ। তারা বলছেন, সরকার এত কিছু বলার পর অন্য বছরের মতোই রমজানের আগেই বেড়ে গেল বিভিন্ন জিনিসের দাম। অথচ অন্যান্য দেশে বিশ্বের ধর্মীয় বা অন্য কোনো উৎসবে কমে জিনিসের দাম।
এক বিক্রেতা বলেন রমজানে চাহিদা বেশি থাকে। কিন্তু তাই রোজায় যেসব পণ্যের চাহিদা বেশি সেসব পণ্যের দাম বেড়ে যায়। আমরা বেশি দামে আনি তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। তবে এই বিক্রেতা বলেন দু একটি পণ্যের দাম এখন বাড়লেও অন্যগুলো যা বাড়ার আগেই বেড়ে গেছে। বর্তমানে চিনির কেজি ১১২ টাকা, ডাল ১২০ থেকে ১৩৫ টাকা, ছোলা ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।
আরেক ব্যবসাী বলেন, দেশি আদা ১৫০ টাকা, বিদেশি আদা ২৪০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, বসুন ১৫০ টাকা, বিদেশি রসুন ১৪০ টাকা। এসব জিনিসের দাম দুয়েক দিনে বাড়েনি। যা বাড়ার আগে বেড়েছে।
কাজির বাজারের সবজি বিক্রেতা মিরাজ উদ্দিন বলেন, বেগুন ১০০ টাকা কেজি। কালকে তা ৭০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি করেছি। মোকামে বেশি দাম। ৪০ টাকার শসা ১০০, লেবুর হালি ৪০ টাকা, টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৬০ কেজি। মরিচের কেজি ৮০ টাকা। তবে অন্য কোনো সবজির দাম বাড়েনি বলে জানান তিনি।
এদিকে রমজানে ইফতারির আইটেমে অনেক পরিবারে ফলেরও ব্যবহার বেড়ে যায়। তবে এবার এখনও শুধু খেজুরের দাম বেড়েছে। বাকি ফলের দাম আগের মতোই আছে। এসময় ক্ষোভ প্রকাশ করে এক ফল ব্যবসায়ী বলেন যারা দাম বাড়ায় তারা বাড়াতে বাড়াতে কান্ত। আর কত বাড়াবে। দামের কারণে বিক্রি কমেছে। অনেক জিনিস নষ্ট হয় দোকানে।
এসময় তিনি বলেন, আপেল ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি, মালটা ২২০ টাকা, আঙুর ২৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এসব ফলের দাম বাড়েনি। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। এদিকে রমজানে মাছ, মাংসেরও চাহিদা থাকে। তাই কমছে না দাম। আগের মতোই আছে ডিমও।