সিলেটে জমজমাট ইফতার বাজার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মার্চ ২০২৩, ৭:৫৮:০২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : বরাবরের মতো এবারও রোজার প্রথম দিনেই জমে উঠেছে ইফতার বাজার। নগরের অলিগলি থেকে অভিজাত হোটেল-রেস্টুরেন্টে জিলাপি, ছোলা, পেঁয়াজু কাবাবসহ নানা চমকপ্রদ ও স্বাদের ইফতারসামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। আর সেখানে ভিড় করেন রোজাদারেরা।
শুক্রবার দুপুরের আগে থেকে দোকানগুলোয় ইফতারের বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করে রাখেন। বিকেল থেকে দোকানের সামনে বিভিন্ন ইফতার সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে রেখেন বিক্রেতারা। বিকেল গড়াতেই শুরু হয় বেচাকেনা। চলবে ইফতারের আগ পর্যন্ত। প্রথম রমজান ও ছুটির দিন থাকায় ইফতারের দোকানগুলোতে দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়।
বিকেলে নগরীর জিন্দাবাজার, আম্বরখানা, জল্লারপার, রিবাকীবাজার, মদিনা মার্কেট, উপশহরসহ বিভিন্ন এলাকার রেস্টুরেন্ট ও অস্থায়ী বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায় ইফতারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। এসব এলাকায় যেন পা ফেলার জায়গা নেই। ক্রেতা-বিক্রেতার হই-হুল্লোড়ে মুখরিত পুরো ইফতার বাজার। চলছে বেচাকেনাও। দোকানগুলোতে ইফতারের নিয়মিত আইটেম আলুর চপ, ডিম চপ, বেগুনি, পেঁয়াজুর পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে হালিম, ফ্রাই, বিরিয়ানি, চিকেন সাসলিক, তান্দুরি চিকেন, রেশমি জিলাপি ইত্যাদি।
দোকানিরা জানান, প্রতিবারের মতো এবারও ঢাকাইয়া আদলে তৈরি ইফতারসামগ্রীতে মজেছেন ক্রেতারা। স্পেশালের মধ্যে রয়েছে- আস্তো খাসির রান দিয়ে তৈরি বড় বাপের পোলায় খায়, আস্ত মোরগের রোস্ট, কাবাব, কোয়েল-কবুতর ভুনা, মোরগ পোলাও, পেস্তা বাদামের শরবত, মোরগ মুসাল্লাম, বটি কাবাব, টিকিয়া কাবাব, কোফতা, চিকেন কাঠি, শামি কাবাব, শিকের কাবাব, কোয়েল পাখির রোস্ট, কবুতরের রোস্ট, বিফ আখনি, মুরগির আখনি, হালুয়া, হালিম, কাশ্মীরি শরবত, ইসবগুলের ভ‚ষি, পরোটাসহ অর্ধশতাধিক জাতের ইফতারসামগ্রী।
এ দিকে গত বছরের চেয়ে দাম বেড়েছে কিছুটা। তবে দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে চাহিদা ও বিক্রি। এর মধ্যে চিকেন চপ, জালি কাবাব, গ্রিল, রেশমি কাবাব, নানা রকমের মিষ্টিও বিক্রি হচ্ছে। বিক্রির তালিকায় আছে দই চিড়াও। পেঁয়াজু, বেগুনি, মরিচা, আলুর চাপ, শাকবড়া ৫ থেকে ১০ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বড় ডিম চপ ২৫ টাকা, জিলাপি প্রতিটি ১০ টাকা, সমুচা ১০ টাকা, অনথন ১৫ টাকা, শামি কাবাব ৪০ টাকা, চিকেন রোল ৪৫ টাকা, চিকেন সাসলিক ৬৫ টাকা, চিকেন হালিম ৬০০ টাকা কেজি ও মাটন হালিম ৬৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বুন্দিয়া প্রতিকেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, চিকেন আখনি ৩০০ টাকা কেজি, বিফ আখনি ৩৫০ টাকা। এছাড়া ইফতারিতে বিশেষ আইটেম হিসেবে বিক্রি হচ্ছে কাচ্চি বিরিয়ানি, তেহারি ও পোলাও রোস্টও।
মেজরটিলার বাসিন্দা মাসুক আহমদ দৈনিক জালালাবাদকে জানান, ছোলা, গতবছরের চেয়ে বেশি এবার জিলাপিসহ বিভিন্ন সামগ্রীর দাম বেড়েছে। গত বছর যে পিয়াজু ২ টাকা ও বেগুনি পাঁচ টাকায় ছিল। এবছর সেটা ৫ টাকা ও ১০ টাকা। তারপরেও আঁকারে ছোট হয়ে গেছে।