সিশেলসকে হারালো বাংলাদেশ,এবার দর্শক খরা সিলেটে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ মার্চ ২০২৩, ৯:০০:২৭ অপরাহ্ন
স্পোর্টস ডেস্ক: সিলেটের মাঠ মানেই দর্শক উম্মাদনা, উৎসবের উপলক্ষ। কিন্ত এবার ঠিক এর উল্টোটাই ঘটলো। নেই দর্শক উম্মাদনা। যদিও রোজার কারণে গ্যালারিতে দর্শক সমাগম নিয়ে স্থানীয় আয়োজকেরা সংশয় প্রকাশ করেছিলেন আগেই। তাদের সংশয় যে ঠিক ছিল, তা বোঝা গেল মাঠে এসেই। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের গ্যালারি অনেকটাই ফাঁকা। ১৭ হাজার ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে দর্শক হাজার খানেক।
অথচ এই স্টেডিয়ামে অতীতে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সব ম্যাচেই ছিল ভিন্ন ছবি। পরিপূর্ণ গ্যালারি বরাবর সমর্থন দিয়ে গেছে ঘরের ছেলেদের। ২০১৪ সালে ২৯ আগস্ট তো বাংলাদেশ-নেপাল অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ম্যাচে স্টেডিয়ামের ফটক ভেঙে মাঠে ঢোকেন হাজার হাজার মানুষ। মাঠের ভেতরে লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে সে ম্যাচ দেখেন কয়েক হাজার দর্শক। ২০১৪ সালের সেই ম্যাচে বাংলাদেশ ১-০ গোলে হেরে গেলেও দশর্ককের মনে ছিল ম্যাচ দেখতে পারার তৃপ্তি।
মাঝে ৮ বছর এই স্টেডিয়ামে ফিফা প্রীতি ম্যাচসহ বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ খেলেছে বাংলাদেশ। এক বছর আগেও এখানে মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ফিফা প্রীতি ম্যাচে ১০-১২ হাজার দর্শক এসেছিল গ্যালারিতে। কিন্তু কাল এর বিপরীত চিত্রই দেখা গেলো সিলেটে।
তবে দর্শক খরার মাঝেও দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ সেশেলসকে হারিয়ে উৎসবের উপলক্ষ তৈরী করে বাংলাদেশ। জয় পেলেও কাল জামাল-সোহেলদের খেলাতেও শুরুর দিকে ছিল না চেনা ধার। শুরুর দশ মিনিটে তিনটি কর্নার পায় বাংলাদেশ। সোহেল রানার তিনটি কর্নার শটের কোনোটিই যুৎসই হয়নি। নিচু ও দুর্বল কর্নারগুলো অনায়াসে ফেরান সিশেলসের ডিফেন্ডাররা। ১৯তম মিনিটে সোহেল রানাকে কাটিয়ে বুলেট দূরপাল্লার শট নিয়েছিলেন ব্র্যান্ডন রশিদ। তবে বল যায় পোস্টের বেশ বাইরে দিয়ে। পোস্টে এটাই ছিল প্রথম শট।৩৯তম মিনিটে জামালের শট গোলরক্ষক বরাবর যায়ন। এর আগে ছয় মিনিট আগে তপুর হেড যায় গোলরক্ষকের গ্লাভসে। ৪২ মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি-কিকে তারিক কাজীর হেডে বল জালে জড়াতেই স্বস্তি নামে বাংলাদেশ দলে। জাতীয় দলের জার্সিতে এটি ফিনল্যান্ড প্রবাসী তারিক কাজীর প্রথম গোল। প্রথমার্ধে এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সজীবের বদলি নামেন এলিটা কিংসলে। সৌদি আরবে ট্রেনিং ক্যাম্পের সময় মালাবির বিপক্ষে ম্যাচে লাল-সবুজের জার্সি পরে খেলেছিলেন নাইজেরিয়ান থেকে বাংলাদেশি হয়ে যাওয়া এই ফরোয়ার্ড।আক্রমণভাগের শক্তি বাড়াতে ৫৫তম মিনিটে জামালকে তুলে মতিন মিয়াকে নামান কাবরেরা। ৬১তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে তৈরি হয় দারুণ সুযোগ। মতিনের দারুণ ক্রস দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে বেরিয়ে গিয়ে কিংসলে বাঁ পায়ে শট নেন, কিন্তু বল চলে যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে। শট পোস্টে রাখতে পারলেই হয়তো ব্যবধান হতে পারত দ্বিগুণ।জয়ের ঘ্রাণ পেতে থাকা বাংলাদেশ পাশে পায় ভাগ্যকে। ৮৭তম মিনিটে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে ডন ম্যাক্সিম ফ্যানচেত্তের ফ্রি কিক পোস্ট কাঁপিয়ে ফিরে। পরের মিনিটেই কিংসলের জোরালো শট ফিস্ট করে ফেরান গোলরক্ষক। বাকিটা সময়ে আর ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পারেনি স্বাগতিকরা। তবে ঠিকই ১-০ গোলে জয়ের আনন্দ নিয়ে ছাড়ে মাঠ।
দ্বিপাক্ষিক সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে আগামী ২৮ মার্চ ফের সিলেটের মাঠে মুখোমুখি হবে দুই দল।