বঙ্গবন্ধুর অমর বাণী মুক্তিযোদ্ধাদের দুর্বার সাহস জাগিয়েছে : বিভাগীয় কমিশনার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ মার্চ ২০২৩, ৭:১০:২৭ অপরাহ্ন
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের অমর বাণী মুক্তিযোদ্ধাদের দুর্বার সাহস জাগিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে মুক্তিযোদ্ধারা নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
তিনি রোববার জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গের সদস্যগণের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি এম এ জলিল, এসএমপি’র পুলিশ কমিশনার মো. ইলিয়াছ শরীফ বিপিএম (বার)-পিপিএম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা ইউনিট কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, মহানগর ইউনিট কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মণ।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের অনুভূতি ও ৩০ লক্ষ শহিদদের অনুভূতি বুঝেন যার প্রেক্ষিতে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদান করে ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে তিনি বদ্ধপরিকর।
সারাদেশের মতো সিলেটেও যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩ উদযাপন করা হয়। প্রত্যুষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর পরপরই বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সিলেট চৌহাট্টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উদযাপনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গের সদস্যগণের সংবর্ধনা, আলোচনাসভা ও ইফতার মাহফিল, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করে। এ ছাড়াও মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাসহ সকল উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি