জুড়ীতে সড়ক দখল করে কাঠের ব্যবসা
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ মার্চ ২০২৩, ৮:৫৯:৩৭ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি: জুড়ীর রেলওয়ে গোদাম রোড দখল করে দীর্ঘদিন ধরে কাঠ ব্যবসা করছে কতিপয় কাঠ ব্যবসায়ী। রাস্তায় গাছ ফেলে রাখায় এই সড়কে চলাচলকারিদের মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে জুড়ী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে।
জানা গেছে, জুড়ী উপজেলা সদরের গুদাম রোডটি বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূমি। একসময় কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেললাইনে চলাচলকারী ট্রেনসমূহের মালবাহি বগি (ওয়াগন) এখানে আনা হতো। চা বাগান কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ওয়াগণ যোগে মালামাল/পণ্য সামগ্রী আনতেন। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মালামালগুলো ওয়াগন থেকে আনলোড করে পাশের গোদামে রাখতেন। পরে ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে বিভিন্ন পরিবহনে মালামাল ডেলিভারি নিতেন। ২০০২ সালে কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেল লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে রেলের গোদামঘর, গোদাম রোড সহ এই রেল লাইনটি ব্যবসায়ীরা গাছ ফেলে দখল করে নেয়। এতে এই সড়কে চলাচলকারিরা পড়েন মহাবিপাকে।
শুক্রবার সরেজমিনে গেলে গাছ ফেলে পুরো এলাকাটি দখল করে রাখার দৃশ্য চোখে পড়ে। এছাড়াও উপজেলা সদরের জাফরনগর ইউনিয়নের শিশুপার্ক সংলগ্ন জাইকা সেতু হতে জুড়ী নদীর পাড়ের রাস্তটি আবারো বে-দখল হয়ে গেছে। রাস্তার উপর বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করে ও গাছ ফেলে দখল করে নেওয়া হয়েছ।
জুড়ীর সাবেক ইউএনও বর্তমান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব অসিম চন্দ্র বণিক ২০১৭ সালের ২ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ২৯ জুন পর্যন্ত জুড়ীত কর্মরত ছিলেন। সে সময় তিনি জুড়ী শহরকে সাজাতে বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ঐতিহ্য হারানো কামিনীগঞ্জ বাজার ফুটপাত মুক্ত, চৌমুহনী থেকে জুড়ী নদী পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও খাল খননের মতো কাজের পরিকল্পনা স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। সে সময় খাল খনন ও জুড়ী নদীর দুই পাড় উচ্ছেদ অভিযানে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে তাকে কঠিন লড়াই করতে হয়। তার বদলির পর প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় আবারো বে-দখল হয়ে গেছে জুড়ী নদীর পার সহ গোদাম রোডের সড়কটি।
জুড়ী ইউএনও রঞ্জন চন্দ্র দে বলেন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে জুড়ী নদীর পাড়ের বেদখল হয়ে যাওয়া রাস্তা ও গোদাম রোডের সড়কটি দখলমুক্ত করে জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।