সিরিয়ায় রুশ-মার্কিন উত্তেজনা বাড়ছে
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ এপ্রিল ২০২৩, ৯:৪৮:১৮ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেন ঘিরে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র প্রায় মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। অনেক পর্যবেক্ষক বলে থাকেন, যুক্তরাষ্ট্র আসলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘ছায়াযুদ্ধে’ লিপ্ত রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে খবর এলো যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়াতেও রুশ-মার্কিন উত্তেজনা বেড়ে চলছে। গতকাল এক প্রতিবেদনে এমন ইঙ্গিত দিয়েছে সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়েছে, সিরিয়ায় রুশ সেনারা মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। ওই ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে মস্কো বলছে, যুক্তরাষ্ট্র উসকানি’ দিয়েছে। রাশিয়ার সেনা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদ মাধ্যম ‘তাস’ জানিয়েছে, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ হাস্্সাকেহেতে কয়েক বছর থেকে মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তারা সেখানে স্থানীয় কুর্দিদের সহযোগিতা করছে, যারা মূলত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াই করছে। সেখানে তাদের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড লক্ষ করা গেছে। এর প্রতিবাদে জানিয়েছে রুশ পক্ষ। রুশ সেনা কর্মকর্তা রিয়ার অ্যাডমিরাল লেগ গুরিনভ এ কথা বলেছেন। ওই সেনা কর্মকর্তা আরও বলেন, মার্কিন সেনাদের যে অঞ্চলে থাকার কথা তার বাইরে দুই দফা তাদের দেখা গেছে এবং তারা সেখানে রুশ বাহিনীর মুখোমুখি হয়েছিল। তবে কোনো অঞ্চলে মুখোমুখি হয়েছিল সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি গুরিনভ।
গুরিনভের ভাষায়, যৌথ রুশ-তুর্কি টহল চলাকালীন তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী জোট পরিচালিত দুটি টহল দল আমাদের সামনে চলে আসে। আমরা এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছি। প্রসঙ্গত, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে রুশ সেনারা তুর্কি সেনাদের নিয়ে সেখানে কুর্দিবিরোধী অভিযানে লিপ্ত রয়েছে। যদিও কুর্দিরা নিজেদের একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের জন্য বছরের পর বছর ধরে লড়াই করে আসছে। তবে তুরস্ক সব সময় কুর্দিদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে বর্ণনা করে থাকে।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট প্রায় আট বছর আগে সিরিয়া যুদ্ধে হস্তক্ষেপ। পরে রাশিয়া ২০১৫ সালে সিরিয়ায় সেনা পাঠায় মস্কো। তবে যুক্তরাষ্ট্র বাশার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে এবং সহায়তা করেছে বাশার বিরোধীদের। কিন্তু রাশিয়া বাশার বাহিনীকে সহায়তা করে সিরিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল করেছে। সম্প্রতি মস্কো সফরে গিয়েছিলেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। সেখানে তিনি সিরিয়ায় স্থায়ী রুশ ঘাঁটি নির্মাণকে স্বাগত জানিয়েছেন।
এদিকে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় একাধিক বিমান হামলা চালায়। ওয়াশিংটনের দাবি, ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী দমনে এই অভিযান, যারা সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছিল। মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, হাস্্সাকেহ শহরে তাদের ঘাঁটিতে হামলায় এক সামরিক ঠিকাদার নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন অনেকে। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ কারণে ৫ হাজারের বেশি সেনা তলব করেছে বাইডেন প্রশাসন। ওই বিশেষ বাহিনী বর্তমানে ইউরোপীয় কমান্ড অপারেশনাল অঞ্চলে রয়েছে।