বাড়তি দামেই চলছে রোজার নিত্যপণ্যের বাজার
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৫৩:২০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : রমজান মাস ঘিরে নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বমুখী রেশ এখনো বাজারে রয়ে গেছে। রোজার দুসপ্তাহ পেরিয়ে চাহিদা কমলেও বাড়তি দামেই চলছে রোজার বাজার। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ক্রেতারা। অপরদিকে খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি- রোজার চালানে বাড়তি দামে কেনা পণ্য কমে বিক্রির সুযোগ নেই। এছাড়া- চাহিদা কমে গেলে বাজারে সরবরাহও কমে যায়।
শুক্রবার নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে- মাছ-মাংস, সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বাজার : প্রতিকেজি তেঁলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছ ২০০-২২০ টাকা, রুই ৩০০-৩৫০ টাকা, পাবদা ৪০০-৪৫০ টাকা, মলা ৪০০-৪৫০ টাকা, চাষের কই ৩০০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ টাকা, শিং ৩৫০-৪০০ টাকা, ছোট ট্যাংরা ৪৫০-৫০০ টাকা, কাতল ৩০০-৩৫০ টাকা, শোল ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচাবাজার : প্রতিকেজি টমেটো ৩০-৩৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০-১০০ টাকা, পটল ৬০-৭০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, আলু ৩০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা, সিম ৪০-৫০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, মিস্টি কুমড়া সাইজভেদে ৪০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউ আকারভেদে ৫০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাংস-ডিম : ব্রয়লার মুরগির কেজিপ্রতি ১৯০ থেকে ২১০ টাকা, সোঁনালি মুরগি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস ৭২০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ু টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ফার্মের মুরগির লাল ডিম হালি ৪৫ টাকা, ডজন ১৩০ টাকা, হাঁসের ডিমের ডজন ১৯০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নিত্যপণ্য : নিত্যপণ্যের বাজারে প্রতিকেজি দেশি আদা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, চায়না আদা ২২০ টাকা, বড় রসুনের ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, ছোট রসুন ১০০ টাকা, আলু ৩০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৪০ টাকা, ইন্ডিয়ান মসুর ডাল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা, লবণ ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, খোলা চিনি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, খোলা আটা ৬০ টাকা, প্যাকেট আটা ৬৫ টাকা, দুই কেজির প্যাকেট আটা ১৩০ টাকা, সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সুবিদবাজার এলাকার বেসরকারি চাকরিজীবী ফিরোজ হোসেন মাছ বাজারে মাছ কিনতে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রমজান মাসের আগে যেভাবে বলা হয়েছে সব পণ্যের দাম কমানো হবে। সেইভাবে পণ্যের দাম কমানো হয়নি। বরং বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে।
আম্বরখানা এলাকার বাসিন্দা তালহা সবজি কিনতে এসে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, রমজানের অর্ধেক হয়ে গেছে, এখন চাহিদা কম তবু বেশি দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে।