সরকারি যাকাত ফান্ডের অর্থ ইসলামী শরিয়া মোতাবেক ব্যয় হয়: ইফার সেমিনারে অতিরিক্ত সচিব
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ এপ্রিল ২০২৩, ৬:৪৭:৫৭ অপরাহ্ন
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাবিনা আলম বলেছেন, সরকারি যাকাত ফান্ডের অর্থ যথাযথ পদ্ধতিতে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক ব্যয় করা হয়। প্রতিবছর অসহায় দুস্থদের কর্মসংস্থান, শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম, শিক্ষাবৃত্তি, প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসন, দুস্থ মহিলাদের সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়। তিনি বলেন, যাকাত ব্যবস্থাপনাকে সুন্দর করে তুলতে বর্তমান সরকার যাকাত তহবিল ব্যবস্থাপনা আইন করেছে। সেরা যাকাতদাতাকে নির্বাচন করে পুরস্কৃত করা হবে। দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গঠনে যাকাত বোর্ড ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
রোববার সিলেট জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘দারিদ্র্য বিমোচনে যাকাতের ভূমিকা’ শীর্ষক বিভাগীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ জাকারিয়া ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঢাকার পরিচালক আনিসুর রহমান সরকার।
সৈয়দ ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেটের পরিচালক মো. মহিউদ্দিন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপ-পরিচালক মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
সেমিনারে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক আফতাব চৌধুরী, গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী মান্না, জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম ফায়সাল, জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল বাশিরুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন মৌলভীবাজার জেলা উপ-পরিচালক আনোয়ারুল কাদির, সিলেট জেলা সমাজসেবা অফিসের উপ-পরিচালক আবদুর রফিক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন সুনামগঞ্জ জেলা উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, জেলা তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক সালাহ উদ্দিন, জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেট মহানগর সভাপতি হাবিব আহমদ শিহাব ও সিলেট কালেক্টরেট মসজিদের ইমাম মাওলানা শাহ আলম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, যাকাত ব্যবস্থার সহজ করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অনলাইন ব্যবস্থা চালু করতে হবে। মাঠপর্যায়ে সকলেই আন্তরিকভাবে কাজ করলে যাকাত আদায়ের লক্ষ্য পূরণ হবে।
মূল প্রবন্ধে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপ-পরিচালক শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের করের পাশাপাশি সরকারিভাবে যাকাত দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। তাই সরকারের কোষাগারে কর প্রদানকারী অনেকের জিজ্ঞাসা করেন সরকারকে আয়কর-ট্যাক্স দিলে আবার যাকাত দিতে হবে কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে ১৯৮২ সালে আইন মন্ত্রণালয়ের গেজেটে বলা হয়েছে, যে পরিমাণ সম্পদের উপর যাকাত দেওয়া হবে, সে পরিমাণ সম্পদ আয়করের হিসেব থেকে ছাড় দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তি