‘ভেন্টিলেশন সাপোর্টে’ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ এপ্রিল ২০২৩, ১০:০৩:১৯ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে বলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে জানানো হয়েছে। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মেডিকেল বোর্ডের সভা হয় বলেও ওই বুলেটিনে জানানো হয়।
এর আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সোমবার ১০টা ৩০ মিনিটে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। এদিন তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
মঙ্গলবার বিকালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. মামুন মোস্তাফী জানান, মঙ্গলবার মেডিকেল বোর্ডের সভায় তিনিসহ দেশখ্যাত চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।
তারা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সর্বশেষ রিপোর্ট পর্যালোচনা করে তাদের মতামত ও পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে প্রয়োজনীয় জরুরি চিকিৎসা কৌশল নিরূপণ করছেন।
এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা হলেন, মেডিসিনের অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ, নিউরোলজির অধ্যাপক কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, মেডিসিনের অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী, অধ্যাপক আলী আহমেদ, কার্ডিওলজির অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী, অধ্যাপক শফিকুল বারী এবং গণস্বাস্থ্যের সংশ্লিষ্ট ডাক্তাররা।
অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. মামুন মোস্তাফী আরও জানান, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর রক্তে ইনফেকশন পাওয়া গেছে। এটি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ওষুধ দেয়া হচ্ছে। তাতে ইতিবাচক সাড়া মিলছে।
বেলা ২টা ১৫ মিনিট থেকে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কিডনির ডায়ালাইসিস শুরু হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য চিকিৎসাও চলছে। তাকে এখন গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
এদিকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন অধ্যাপক আলতাফুন্নেছা প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মী, সংগঠক ও স্বেচ্ছাসেবকদের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্য দোয়া ও প্রার্থনা অব্যাহত রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
৮২ বছর বয়সী জাফরুল্লাহ চৌধুরী বহুবছর ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছেন। সম্প্রতি তার বার্ধক্যজনিত জটিলতাগুলো খারাপের দিকে যায়। এর মধ্যে সোমবার তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
১৯৭১ সালে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে জাফরুল্লাহ চৌধুরী ভারতের আগরতলায় গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে তিনি তা পরিচালনা করেন।
মুক্তিযুদ্ধের পর সেই হাসপাতালের নামেই প্রতিষ্ঠান গড়তে চেয়েছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আলোচনা করে নাম ঠিক করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিও গড়েছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ১৯৮২ সালে দেশে প্রথমবারের মতো প্রণীত ঔষধ নীতি তৈরিতেও তার ভূমিকা ছিল।