খরতাপ বাড়ছেই
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ এপ্রিল ২০২৩, ১২:১০:১৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : ঘরে কি বাইরে সমানে তাপের দাপট। সূর্য যেন ভীষণ রুদ্ররোষে ফেটে পড়ছে ধুলার ধরণীতে। বাংলা বর্ষপঞ্জির শেষ মাস চৈত্র শেষ হয়ে এল। তবে সপ্তাহ ধরে বয়ে চলা খরতাপ আরও বাড়ছেই। সব মিলে এ যেন ‘প্রখর দারুণ অতি দীর্ঘ দগ্ধ দিন’।
এদিকে গত ৩ দিন থেকে সিলেটে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে তাপমাত্রা। সোমবার সিলেটের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়া, মঙ্গলবার রেকর্ড হয় ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বুধবার রেকর্ড হয় ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে নববর্ষ নিয়ে দোরগোড়ায় হাজির বৈশাখ। তবে চৈত্রের শেষ প্রান্তে শুরু হওয়া ভয়াবহ তাপদাহ কমার সম্ভাবনা নেই। বরং আরও বাড়তে পারে বলেই আবহাওয়ার খবর। তীব্র গরমে অস্থির জনজীবন। গনগনে সূর্যের দাপটে হাঁসফাঁস অবস্থা। মানুষের দুর্বিষহ অবস্থার সঙ্গে ভুগছে প্রাণপ্রকৃতিও।
বিশেষ করে শিশু আর বয়স্ক ব্যক্তিদের ভোগান্তি বেশি। বৈরী আবহাওয়ায় তাদের অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আবার ভয়াবহ তাপপ্রবাহে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বোরো ধানের জমি শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে বলেও খবর আসছে।
গত সপ্তাহের শুরুর দিকে দেশের ৫ জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়। বাড়তে বাড়তে তা এখন দেশের প্রায় সব এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। এরইমধ্যে মঙ্গলবার চলতি বছরের সবচেয়ে উত্তপ্ত দিন ছিল। এদিন চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তবে তাপদাহ কমে আসার খবর দিতে পারছে না আবহাওয়া অফিস। এমন পরিস্থিতি আরও কদিন থাকবে বলেই তাদের তথ্য। গরমের তেজ আগামী কয়েক দিনে ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁতে পারে, বলছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু; ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি আর ৪০ ডিগ্রি ছাড়ালে তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়।