মণিপুরে ব্যাপক সহিংসতা, সেনাবাহিনী মোতায়েন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ মে ২০২৩, ৬:৫৬:১৬ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: মেতিস গোষ্ঠীকে স্কেজিউলড ট্রাইবে (তফসিলি উপজাতি) অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে ব্যাপক সহিংসতা দেখা দিয়েছে ভারতের মণিপুর রাজ্যে। সহিংসতা এমন রূপ নিয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী ও প্যারামিলিটারি।
বৃহস্পতিবার এনডিটিভি বলছে, আসাম রাইফেলসকে মণিপুরের পরিস্থিতি রক্ষায় মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনী সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন জায়গা থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছে। ৭ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষকে ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর অবকাঠামোয় আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। মণিপুরের রাস্তায় রাস্তায় সেনা সদস্যদের টহল বলবৎ রয়েছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বুধবার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে সংঘাতপূর্ণ এলাকাগুলোয় র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের (আরএএফ) সদস্যদেরও পাঠানো হয়। খবরে আরও বলা হয়, সেনা মোতায়েন করার পরও বুধবার রাজধানী ইমফাল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিভিন্ন দোকানপাট ও বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়।
গত মাসে ভারতের মণিপুর রাজ্যে মেতিস গোষ্ঠীর মানুষকে স্কেজিউলড ট্রাইবে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন ভারতীয় আদালত। তবে রাজ্যের নাগাসম, জোমিস এবং কুর্কি উপজাতিরা এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। পরে গতকাল অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন মণিপুর (এটিএসইউএম) ‘উপজাতি সংহতি’ মিছিল করার ঘোষণা দেয়। এ মিছিলে বাধা দেয় মেতিস গোষ্ঠী। মূলত এরপরই সংঘর্ষ বাঁধে। এটি পরে ছড়িয়ে পড়ে ইমফাল, চুরান্দপুর ও কাংপোকপি এলাকায়। তারপর রাজ্যের আটটি বিভাগে কারফিউ জারি করা হয়।
মণিপুরের ৫৩ শতাংশই মানুষ মেতিস গোষ্ঠীর। কিন্তু তারা উপজাতি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত নন। যে কারণে পার্বত্য অঞ্চলগুলোয় এ গোষ্ঠী বসতি স্থাপন করতে পারে না। পুরো মণিপুরের মাত্র ১১ শতাংশ স্থানে এ গোষ্ঠীর বসবাস। বিশেষ করে মণিপুর উপত্যকায় তাদের বসবাস বেশি।
মেতিস গোষ্ঠীর দাবি, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে অবৈধ অভিবাসীরা আসায় তারা অনেক সমস্যায় পড়ছে। এ কারণে নিজেদের স্কেজিউলড ট্রাইবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছিল তারা।