১৩ মাসে বজ্রপাতে ৩৪০ মৃত্যু, বেশী সুনামগঞ্জে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ মে ২০২৩, ৯:২৬:১৮ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট: দেশে ১৩ মাসে বজ্রপাতে মারা গেছেন ৩৪০ জন। এরমধ্যে চলতি বছরেই মারা যান ৬৬ জন। মৃত্যুদের মধ্যে অধিকাংশই কৃষক। এসব মৃত্যু হয়েছে কৃষি জমিতে কাজ করার সময়, অথবা বৈশাখী ঝড়ে আম কুড়াতে গিয়ে। আবার বাড়ির আঙ্গিনায় খেলা করার সময়, এছাড়া মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টোর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম (এসএসটিএফ) এ তথ্য জানায়। সংগঠনটি বজ্রপাতে মৃত্যু নিয়ে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে।এই পরিসংখ্যান করা হয়। পরিসংখ্যানটিতে ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত মৃত্যুর তথ্য নেওয়া হয়।
এতে জানানো হয়, ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত বজ্রপাতে ৩৪০ জন মারা গেছেন। আর ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বজ্রপাতে মারা গেছেন ২৭৪ জন। এরমধ্যে ২৩৯ জন পুরুষ আর ৩৫ জন নারী। নারী ও পুরুষের মধ্যে ১২ জন শিশুও রয়েছে।
এসএসটিএফের পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, ২০২৩ সালে বজ্রপাতে প্রথম মৃত্যু হয় ১৫ মার্চ। এরপর থেকে ৩ মে পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৬ জন। এরমধ্যে ৬৩ জন পুরুষ ও তিনজন নারী, আর দুজন শিশু এবং চারজন কিশোর রয়েছে। আহত হয়েছেন আটজন। এরমধ্যে শুধু কৃষি কাজ করতে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে ৫১ জনের। নৌকায় থাকা অবস্থায় বা মাছ ধরতে গিয়ে মারা গেছেন ১১ জন।
চলতি বছর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বজ্রপাতে হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও মার্চ থেকে মৃত্যুর ঘটনা শুরু হয়। এই মাসে মারা যান ১৫ জন। আর এপ্রিল মাসে মৃত্যু হয় ৫০ জনের। অন্যদিকে চলতি মে মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত মারা গেছেন একজন। এবছর (২০২৩ সালে) বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে সিলেটের সুনামগঞ্জে। এ জেলায় মারা গেছে ৭ জন। আর সিলেট জেলায় মারা গেছে ৫ জন।
এসময় সংগঠনের সভাপতি ড. কবিরুল বাশার ও সাধারণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে সরকারের কাছে দুই দফা দাবি করেন।
এরমধ্যে একটি হলো সচেতনতা বাড়াতে বজ্রপাত বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা। আরেকটি হলো মাঠে মাঠে বজ্রনিরোধক টাওয়ার নির্মাণ ও দ্রুত বর্ধনশীল গাছ লাগানো।