উত্তপ্ত মণিপুর, ২৩ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিল সেনাবাহিনী
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ মে ২০২৩, ৭:২০:৪৭ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: ভারতের মণিপুর রাজ্যে মেতিস জাতিগোষ্ঠী ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যকার সংঘর্ষ এখনো চলছে। রোববার পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
গত মাসে মেতিস জাতিগোষ্ঠীকে স্কেজিউলড ট্রাইবে (উপজাতি সম্প্রদায়ে) অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন মণিপুর হাইকোর্ট। কিন্তু এ বিষয়টির বিরোধীতা করে রাজ্যটির অন্যান্য উপজাতিরা।
গত বুধবার এসব উপজাতি একটি বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করে। ওই মিছিল থেকেই রাজধানী ইম্ফালাসহ প্রায় সব বিভাগে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সহিংসতায় মণিপুরে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া এসব দাঙ্গা-হাঙ্গামা থেকে বাঁচতে অনেকে সেনাবাহিনীর সাহায্য কামনা করেছেন। তাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী এখন পর্যন্ত ২৩ হাজার জনকে উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃতদের সেনাবাহিনীর জিম্মাতেই রাখা হয়েছে। এছাড়া সিকিম, মিজোরাম, ত্রিপুরাসহ অন্যান্য রাজ্যগুলো মণিপুরে অবস্থানরত তাদের রাজ্যের সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিতে কাজ করছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রাজ্যের যেসব স্থানে সবচেয়ে বেশি সহিংসতা হয়েছে সেসব অঞ্চলে সেনাবাহিনী কঠোর টহল দিচ্ছে। এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাদের দেখামাত্র গুলিরও নির্দেশ দেওয়া আছে।
তবে সহিংসতার মাত্রা কমে আসায় চূড়াচাঁদপুরে রোববার সকাল ৭টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়। এ সময় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে অনেকে বাইরে বের হন। কারফিউ শেষ হয়ে যাওয়ার পরপরই আবারও সেনাবাহিনী, প্যারামিলিটারি আসাম রাইফেলসসহ অন্যান্য বাহিনীর টহল শুরু হয়।
বুধবার থেকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ শুক্রবার রাতে আবারও ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এদিন রাতে থানা থেকে অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে মণিপুর রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ আছে। ফলে সেখানকার আসল পরিস্থিতি সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী কিষাণ রেড্ডি রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের কারণে মণিপুরে এমন সহিংসতা শুরু হয়েছে। উভয়ের সঙ্গেই এ ব্যাপারে আলোচনা করা হচ্ছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, সহিংস হয়ে কেউই কোনো কিছু অর্জন করতে পারবেন না। তাই সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী কিষাণ রেড্ডি আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।