দেশে প্রতি ১৪ জনে একজন থ্যালাসেমিয়ার বাহক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ মে ২০২৩, ৭:১৬:৩৫ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট: বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি ১৪ জনে একজন থ্যালাসেমিয়ার বাহক বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এরমধ্যে শিশু ৭০ হাজারের বেশি। আর সিলেটে ১৪৮ জন থ্যালাসেমিয়া রোগীর তালিকা রয়েছে বলে জানিয়েছে সিলেট সিভিল সার্জন অফিস।
চিকিৎসকদের মতে, থ্যালাসেমিয়া হলো একটি বংশগত রক্ত স্বল্পতাজনিত রোগ। এসব রোগী ছোট বয়স থেকেই রক্ত স্বল্পতায় ভোগে। এদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- তারা যেহেতু শরীরে নির্দিষ্ট পরিমাণ রক্ত তৈরি করতে পারে না, তাই অন্যের রক্ত ট্রান্সফিউশন নিয়ে তাদের জীবন চালাতে হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বাংলাদেশের জনসংখ্যার সাত শতাংশ অর্থাৎ প্রায় এক কোটি ১০ লাখ মানুষ থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক। থ্যালাসেমিয়া বাহকদের পরস্পরের মধ্যে বিয়ের মাধ্যমে প্রতি বছর নতুন করে সাত হাজার থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুর জন্ম হচ্ছে। থ্যালাসেমিয়া রোগীরা প্রতি মাসে এক থেকে দুই ব্যাগ রক্ত গ্রহণ করে বেঁচে থাকে। চিকিৎসা না করা হলে এ রোগীরা রক্ত শূন্যতায় মারা যায়।
সিলেট সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসের ডা. স্বপ্লীন সৌরভ রায় বলেন, এ রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে মা-বাবা থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক হলে সন্তানের। তাই দুই বাহকের মধ্যে বিয়ের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা প্রয়োজন। সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ জন্য সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হয়।
তিনি জানান, এই রোগের প্রধান লক্ষণ হিসেবে ধরা হয় জন্ডিস ও ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, শিশুদের জন্ডিস এবং ত্বক ফ্যাকাশে দেখাতে পারে। একটু সচেতন হলেই আমরা এ রোগ প্রতিরোধ করতে পারি। আর অবশ্যই বিয়ের আগে সবার হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফরেসিস পরীক্ষার করা উচিৎ। তাহলে সন্তান সুস্থ থাকবে।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজিস্ট নাজমুল ইসলাম জানান, থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড নেই। এই রোগীদের সাধারণত মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আমাদের এই হাসপাতালে গত তিন বছরে প্রায় তিন হাজার রোগী এ রোগের চিকিৎসা নিয়েছেন। এ রোগের বিষয়ে সচেতনতার বিকল্প নেই।