জকিগঞ্জ বিএনপি-জামায়াতের ৭২ নেতাকর্মী কারাগারে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ মে ২০২৩, ১০:০২:৫৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের জকিগঞ্জে পুরনো একটি মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৭২ জন নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। সোমবার জকিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক সকলের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে একই মামলায় গত বৃহস্পতিবার (৪ মে) আরো ৩২ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে কুমিল্লার একটি পূজা মন্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফকে রাখাকে কেন্দ্র করে সিলেটের জকিগঞ্জের কালিগঞ্জে পুলিশের উপর হামলা, ইউএনও, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ওসি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের দায়েরকৃত মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ছিলেন তারা। মামলার আসামীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট কাউসার রশীদ বাহার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কারাগারে যাওয়া আসামীরা হলেন- আব্দুল কাদির মেম্বার, মাসুদ আহমদ, কামরুল ইসলাম, আব্দুল জলিল মেম্বার, কামিল আহমদ, বাবুল আহমদ, বুরহান উদ্দিন, রায়হান আহমদ, জমির উদ্দিন, ইমন আহমদ, মো. আলাউদ্দিন, জালাল উদ্দিন, আলম আহমদ, ছয়েফ উদ্দিন, ফয়ছল মেম্বার, ময়নুল ইসলাম, পারভেজ মোশাররফ, সফি মিয়া, মিনহাজ আহমদ, ছাইফুর রহমান, এমাদ উদ্দিন, রিয়াজ উদ্দিন, কবির আহমদ, হাফিজ নাছির উদ্দিন, আলম মিয়া, আল আমিন, আব্দুল কুদ্দুস, জয়নাল আহমদ, জুবায়ের আহমদ চৌধুরী, মাহতাব আহমদ, সিপার আহমদ, মুরশেদ আলম, মো. মুমিন মিয়া, মনির উদ্দিন, জোবায়ের আহমদ, ছয়ফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম জাকির, সায়াদ আলী, আব্দুল হান্নান হান্না, শাহিদ আহমদ, জাকারিয়া আহমদ জুয়েল, রাবেল আহমদ, মিজান আহমদ, মাহতাব হোসেন, মায়রুফ আহমদ, খলকু মিয়া, আবু সুফিয়ান, আলীম উদ্দিন, আব্দুল জলিল জলু, মাজহারুল ইসলাম সেলিম, কাওসার আহমদ, নজরুল ইসলাম নমিক, শাহিদ আহমদ, জামাল উদ্দিন ও কামরুল ইসলামসহ ৬৭ জন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর কুমিল্লার একটি পূজা মন্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখাকে কেন্দ্র করে জকিগঞ্জের কালিগঞ্জে পুলিশের উপর আক্রমণ করা হয়। তখন সংঘর্ষে পুলিশ-জনতাসহ ৩৫/৪০ জন আহত হন। ঘটনার পরে পুলিশ বাদী হয়ে ৩-৪ শ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করে। কয়েকদিন আগে ১৭৪ জনকে অভিযুক্ত করে আলোচিত এ মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জকিগঞ্জ থানার এসআই জহিরুল ইসলাম। এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এ মামলায় এর আগে ৬৫ জন নেতাকর্মী কারাবরণ করেন। গত বৃহস্পতিবার (৪ মে) আরো ৩২ জন আসামি আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন প্রার্থনা করেছিলেন। পরে বিচারক শ্যামকান্ত সিনহা তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান। সর্বশেষ সোমবার আরো ৬৭ জনকে কারাগারো পাঠানো হয়।
জেলা বিএনপির নিন্দা : এদিকে মামলাকে ষড়যন্ত্রমূলক ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক উল্লেখ করে সকল নেতাকর্মীর মুক্তির দাবী করেছেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।