সুনামগঞ্জে সরকারিভাবে ধান কেনার গতি নেই
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ মে ২০২৩, ৫:৪০:৪৩ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জে সরকারিভাবে ধান কেনা উদ্বোধন হলেও এখনও ঢুকছে না গোদামে ধান। সবেমাত্র ১৮ টন ধান কেনা হয়েছে। ধান কেনার গতি কম হলেও মিলারদের চাল বিক্রি হচ্ছে গোদামে।
সুনামগঞ্জে এবার প্রায় পৌনে চার লাখ কৃষক ১৩ লাখ ৬০ হাজার টন ধান উৎপাদন করেছেন। ধানের এই বা¤পার ফলনেও ন্যায্য দাম না পেয়ে হতাশ কৃষক। সরকার ধানের দাম প্রতিমণ ১২শ টাকা নির্ধারণ করলেও জেলার কোথাও এক হাজার টাকার বেশি ধান বিক্রয় হচ্ছে না। অন্যদিকে, খাদ্যমন্ত্রী রোববার ধান কেনা উদ্বোধন করলেও সোমবার জেলার কোথাও এক ছটাক ধানও কেনা হয় নি।
কৃষকদের অনেকে গোদামে কবে কীভাবে ধান নেওয়া হবে এই তথ্যও জানেন না। কেউ বা হয়রানির কথা চিন্তা করে গোদামে ধান দিতে চাচ্ছেন না। দেখার হাওরের কৃষক আব্দুল হাই জানান, গোদামে ধান দিতে চাইছিলাম। কিন্তু তালিকায় আমাদের নাম আছে কি না জানিনা। কেউ আমাদেরকে বলেও নাই। তাই বাজারে ৯৫০ টাকা দরে ধান বিক্রি করে ফেলেছি।
কালীপুরের পাশের ঝাওয়ার হাওরে খড় শুকানের কাজে ব্যস্ত থাকা কৃষক মো. সাদির হোসেন বললেন, আমি গোদামে ধান দেই না। ওখানে ২৭ মণ (এক টন) ধান দিতে গিয়ে নানা হয়রানির শিকার হতে হয়, ধান শুকায়নি-চিটা আছে সহ নানা কথা বলে গোদাম কর্মকর্তারা। এজন্য ৯৫০ টাকা মণ দরেই গোদামের পাশের মিলে দেড়শ মণ ধান বিক্রি করেছি আমি।
সদর উপজেলা খাদ্য গোদাম কর্মকর্তা বেনু গোপাল দাস জানান, জেলায় ১৭ হাজার ৪৮৩ টন ধান কেনা হবে। এরমধ্যে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলাসহ পাঁচ উপজেলায় অনলাইনে এবং ছয় উপজেলায় সনাতন পদ্ধতিতে হবে ধান কেনা। চাল কেনা হবে নয় হাজার ৬৭৬ টন। তিনি জানান, সদর উপজেলায় সোমবার মাত্র ১৩ জন কৃষক কৃষি অ্যাপে ধান কেনার জন্য আবেদন করেছেন। জেলার বিশ^ম্ভরপুর উপজেলায় ধান কেনা হবে সনাতন পদ্ধতিতে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম ভূঞা বললেন, কৃষক তালিকা সংগ্রহ করে উপজেলায় ক্রয় কমিটির সভা করে দ্রুতই কেনা হবে ধান। ধান কিনতে লটারী করতে হচ্ছে, এজন্য একটু বিলম্ব হচ্ছে। মন্ত্রীর উদ্ধোধনের সময় যেগুলো কেনা হয়েছে, সেগুলো লটারীতে ঢুকানো হবে।