উত্তপ্ত মণিপুর থেকে প্রাণে বাঁচতে বিমানবন্দরে ভিড় বাসিন্দাদের
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ মে ২০২৩, ৭:৪৮:৫০ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক:
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর থেকে পালিয়ে যেতে চাইছেন অনেকেই। ফলে তিল ধারণের ঠাঁই নেই ইম্ফল বিমানবন্দরে। যদিও মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং জানিয়েছেন, সেখানে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। সব কিছু দ্রুত স্বাভাবিক করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মণিপুরের সব এলাকায় টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। কিন্তু সেই রাজ্যের মানুষ এখনো সেখানকার প্রশাসনের ওপর ভরসা করতে পারছেন না। তাই অনেকেই এখন যেতে চাইছেন বাইরে। সেই কারণে এখন বিমানবন্দরে ভিড় করেছেন বাসিন্দারা।
ইম্ফল বিমানবন্দরে জায়গা এমনিতেই কম। স্বাভাবিক সময়ে সেখান থেকে দিনে ২৮টি বিমান ওঠানামা করে। এখন যাত্রী চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিমানের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সোমবার সেখান থেকে ওঠানামা করেছে ৮০টি বিমান। কিন্তু তাতেও সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। ইম্ফল থেকে গুয়াহাটি, কলকাতার বিমান ভাড়া কয়েক গুণ বাড়ানো হচ্ছে। সেই বাড়তি টাকা দিয়েই এখন টিকিট কেটে মণিপুর ছাড়তে চাইছেন অনেকে।
সেই কারণে ইম্ফল বিমানবন্দরকে নিরাপদ স্থান মনে করে মানুষ আশ্রয় নিচ্ছে সেখানে। সেখানে যারা অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে আছে শিশু, বৃদ্ধ এবং শারীরিকভাবে অসুস্থরা। বিমানবন্দরের কমকর্তারা জানান, আইসিইউ থেকে সদ্য বের হওয়া রোগী, নবজাতক, গর্ভবতী ছাড়াও অনেক নারী এখন সেখানে অপেক্ষা করছেন। তাদের অনেকেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাইরে চলে যেতে চাইছেন।
এক কর্মকর্তা বলেন, এখানের টার্মিনাল বিল্ডিংয়ে খুব বেশি হলে ৭৫০ জন থাকতে পারেন, আমাদের এখানে ২৫০ জনের আসা এবং ৫০০ জন বাইরে যাওয়ার যাত্রী সামাল দেওয়ার ক্ষমতা আছে। কিন্তু এখন বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছেন প্রায় ২ হাজার মানুষ।
এখনো মণিপুরে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রয়েছে। তাই যাত্রীদের টিকিট দেওয়া জন্য বিশেষ একটি কাউন্টার করা হয়েছে সেখানে। এএআই’র উত্তরপূর্ব অঞ্চলের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস জুগানি জানান, সেখানে ওই যাত্রীদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। তিনি বলেন, সেখানে মানবিকতার কারণে এত ব্যক্তিকে থাকতে দেওয়া হয়েছে। আমাদের কর্মীরা নিরলস কাজ করছে সেখানে। সেখানে একটি হেল্প ডেস্কও চালু করা হয়েছে।
এদিকে সেখানেও দুষ্কৃতকারীরা হামলা চালানোর চেষ্টা করে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু তারা বিমানবন্দরে ঢুকতে পারেনি। মেইতেই সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার সুপারিশ করে কেন্দ্রের আদিবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে চিঠি লিখতে হাইকোর্ট মণিপুর সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার পর থেকেই রাজ্যে সহিংসতার সূত্রপাত হয়।