মোটরবাইক হাওয়া চক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ মে ২০২৩, ৮:৫৯:৪৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : চোখের পলকেই মোটরসাইকেল হাওয়া। মাত্র এক থেকে দেড় মিনিটের মধ্যে ‘মাষ্টার কি’র মাধ্যমে মোটরসাইকেলের ‘লক’ খুলে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। সিলেটে দীর্ঘদিন থেকে এ চক্রটি সক্রিয় রয়েছে। বুধবার রাতে এ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি ‘মাস্টার কি’ ও একটি অনটেস্ট মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। বৃহস্পতিবার দু’জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত মোটরসাইকেল চোররা হলো- সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জের পারুয়া বদিকোনার আব্দুর রহিমের ছেলে আতিকুর রহমান (১৯) ও একই উপজেলার ভোলাগঞ্জ আদর্শ গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে ফরহাদ হোসেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ‘মাস্টার কি’র মাধ্যমে এক থেকে দুই মিনিটের মধ্যে যেকোনো মোটরসাইকেলের লক খুলে চুরি করা যায় বলে পুলিশকে জানিয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এসএমপির জালালাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল আলম জানান, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের চলমান বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে বুধবার রাতে ওয়েস্ট পয়েন্টে (অস্ট্রেলিয়া পয়েন্ট) এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চোরাই মোটরসাইকেল সহ চিহ্নিত দুই মটর সাইকেল চোরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি নাম্বার বিহীন মোটরসাইকেল, যেকোনো বাইকের লক খোলার দুটি ‘মাস্টার কি’ জব্দ করা হয়।
ওসি আরো জানান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কান্তি দাসের নামে ইস্যুকৃত সরকারি মোটরসাইকেলটি তার এক সহকর্মী বুধবার রাত ৮টায় উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ভাড়া বাসার সামনে রাখে। পরে রাত সাড়ে ৯টার সময় গ্রেফতারকৃত ফরহাদ ও আতিকুর চুরি করে নিয়ে আসে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে দু’জনই স্বীকার করে কোম্পানীগঞ্জের জনৈক এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলটি চুরি করে জগন্নাথপুর থানা এলাকায় বিক্রি করার উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলের দিকে আসছিল। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কান্তি দাস বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার আসামীদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।