পশ্চিমবঙ্গে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিকের চাকরি বাতিল
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ মে ২০২৩, ৮:১০:৫৯ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একদিনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৬ হাজার শিকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার হাইকোর্ট। এসব শিক প্রশিতি না হওয়ায় তাদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, চাকরি বাতিল হলেও আগামী চার মাস তারা স্কুলে যেতে পারবেন। বেতন পাবেন প্যারা শিক হিসেবে। রাজ্যকে আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে শেষ করতে হবে। তবে যাদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তারা ইতোমধ্যে প্রশিণ নিয়ে থাকলে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তারা অংশ নিতে পারবেন।
এ সংক্রান্ত যে মামলা দায়ের করা হয়েছিল সেখানে অভিযোগ করা হয়েছিল, প্রশিতিদের চেয়ে কম নম্বর পেয়েও অনেক অপ্রশিতি প্রার্থী চাকরির সুপারিশপত্র পেয়েছিলেন।
মামলাকারীদের আইনজীবীর বক্তব্য, মামলাকারীদের থেকে কম নম্বর প্রাপ্ত অনেককে চাকরি দেওয়া হয়েছে। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্যানেলে ৮২৪ জনের নাম ছিল। মামলাকারীরা ইন্টারভিউ না দিয়েই তাদের থেকে বেশি নম্বর পেয়েছিলেন। তারপর ১৩৯ জনের একটি তালিকা তৈরি করা হয়, চাকরি যারা পেয়েছেন, তাদের থেকেও এই ১৩৯ জনের নম্বর বেশি ছিল।
আইনজীবীর দাবি, ৩০ হাজারের বেশি এমন প্রার্থী নিয়োগ করা হয়েছিল, যাদের নম্বর মামলাকারীদের থেকে কম।
এ দিকে বিষয়টি পশ্চিমবঙ্গে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। রায়ের পর প্রাথমিক শিা পর্ষদ জানায়, এসব শিক এখন আর অপ্রশিতি নন। তাদের নিয়োগেও কোনো ভুল ছিল না।
কিসের ভিত্তিতে এ কথা বলছে পর্ষদ, তার বিস্তারিত ব্যাখ্যাও দিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তিনি জানিয়েছেন, এই শিকদের যখন নিয়োগ করা হয়েছিল তখন তা নিয়ম মেনেই হয়েছিল। আর সেই নিয়মেই তারা আর এখন অপ্রশিতি নন। শিক হওয়ার যোগ্যও।