টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগের আঘাত
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ মে ২০২৩, ১০:০৫:৩৮ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগের আঘাত হানা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে থেমে থেমে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে। সাগর উত্তাল রয়েছে। উপকূলে ঢেউ আছড়ে পড়ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আজ রোববার সকাল ৯টা থেকে বিকাল তিনটার মধ্যে মোখা উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া ১৮ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ আজ গণমাধ্যমে বলেন, ঘূর্ণিঝড়টির মূল কেন্দ্র থাকবে মিয়ানমারের সিটুয়ের দিকে। আর ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কক্সবাজার থেকে মিয়ানমার পর্যন্ত থাকবে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।