এরদোগান এগিয়ে, তবু অপেক্ষা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ মে ২০২৩, ৩:০৭:০০ অপরাহ্ন
ভোট গড়াতে পারে দ্বিতীয় দফায়
জালালাবাদ রিপোর্ট : তুরস্কের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেমাল কুলুচদারুলুর মধ্যে দেশটির কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে হাড্ড্হাড্ডি লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। এই নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ভোটের হিসাবে এগিয়ে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তাঁর ভাগ্য এখনো ঝুলে থাকলেও ইতিমধ্যে এরদোয়ানের সমর্থকেরা উল্লাসে মেতেছেন।
তুরস্কের সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিল বা প্রধান নির্বাচন কর্তৃপক্ষ বলছে, এ পর্যন্ত প্রায় সব ভোটই গণনা করা শেষ হয়েছে এবং এরদোয়ান ৪৯.৪৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কুলুচদারুলু পেয়েছেন ৪৪.৭৯ শতাংশ ভোট।
তবে কোন প্রার্থীই ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় দুই সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন পার্লামেন্টের ৬০০ এমপি নির্বাচনেও ভোট গ্রহণ হয়েছে। ৯৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ ভোট গণনা দেখা যাচ্ছে, এরদোয়ানের দল একে পার্টি নেতৃত্বাধীন পিপলস অ্যালায়েন্স পেয়েছে ৩২৩টি আসন। এর মধ্যে একে পার্টি একাই ২৬৭টি আসনে জয়ী হয়েছে। ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স জয়ী হয়েছে ২১১ আসনে।
এরদোয়ান দাবি করেছেন, প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে আছেন তিনি। এরদোয়ান বলেন, প্রথম দফা ভোটে নির্বাচন শেষ হবে কি না, আমরা এখনো তা জানি না। কিন্তু দেশের মানুষ ইচ্ছায় দ্বিতীয় দফায় লড়তে প্রস্তুত রয়েছেন।
দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার শপথ নিয়েছেন কুলুচদারুলু। তিনি বলেছেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী মানুষের আস্থা ভোট অর্জনে ব্যর্থ হয়েছেন।
তুরস্কের কিছু দিন আগে ঘটে যাওয়া ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্প এবং বাড়তি মুদ্রাস্ফীতির মধ্যেই এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন যখন দ্বিতীয় দফার দিকে গড়ানোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তখন তৃতীয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সিনান ওগান যিনি ৫শতাংশ ভোট পেয়েছেন তিনি বলেছেন যে, নির্বাচনে তার অংশগ্রহণ এর ফলাফলকে পাল্টে দিয়েছে।
এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসলেও রেচেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এবং কেমাল কুলুচদারুলুর এরআগে দেয়া বিবৃতি অনুযায়ী, ওগান বলেছেন যে, দ্বিতীয় দফার ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
আনুষ্ঠানিকভাবে যদি এই সিদ্ধান্ত আসে তাহলে ওগান দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে অংশ নেবেন না। এমন অবস্থায় তিনি তার সমর্থকদের যে প্রার্থীকে ভোট দিতে বলবেন তা নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে তিনি আগামী কিছুদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন।
তুরস্কে ছয় কোটি ৪০ লাখ ভোটার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এরমধ্যে ৫০ লাখ হচ্ছেন নতুন ভোটার, যাদের বয়স ১৮-২২ বছরের মধ্যে, যারা প্রথমবারের মত ভোট দিয়েছেন ভোটার।