জুড়ীতে দেবে গেছে দুটি সেতু, ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ মে ২০২৩, ৫:১৮:০২ অপরাহ্ন
জুড়ী প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের জুড়ী-ফুলতলা সড়কে সদ্য নির্মিত দুইটি সেতুর একদিক দেবে গেছে। এই দেবে যাওয়া সেতুর উপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।
জানা যায়, ২০১৯ সালে প্রায় ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে জুড়ী-ফুলতলা-বটুলী ২৫ কিলোমিটার সড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্থতায় উন্নীতকরণ কাজ শুরু হয়। যা এখনও চলমান। এ সড়কে বেশ কয়েকটি ছোট বড় কালভার্ট ও সেতু নির্মাণ হবার কথা। অনেকটার কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। সড়কের সাগরনাল ইউনিয়নের কাশিনগর ও উত্তর বড়ডহর এলাকায় অতিসম্প্রতি দুইটি সেতু নির্মাণ করা হয়। কাজ শেষ হবার মাসখানেকের মধ্যেই সেতুর এক দিকে এক ফুটের মত দেবে যায়। এই দেবে যাওয়া সেতুর সংযোগ সড়কসহ ঠিকাদার রাস্তার এ অংশের কাজ শেষ করেন। উক্ত সেতুর উপর দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চালকরা যানবাহন পরিচালনা করছেন।
জুড়ী-ফুলতলা সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী নজরুল ইসলাম নয়ন, সাহাব উদ্দিন সামছু, হারুনুর রশীদ, খলিল মিয়া, জুবের আহমদ প্রমুখ অভিযোগ করে বলেন, জুড়ী-ফুলতলা সড়কের জাঙ্গালিয়া সমাইবাজার ও উত্তর বড়ডহরের মধ্যবর্তী স্থানে প্রায় আট মাস পূর্বে একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। সাদ্দামের কালভার্ট নামে পরিচিত উক্ত সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হবার মাসখানেকের মধ্যেই সেতুর উত্তর দিক ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি দেবে গেছে। একইভাবে উক্ত সড়কের কাশিনগর বাজারের দক্ষিণে অবস্থিত সদ্য নির্মিত সেতুটি দক্ষিণ দিকে ১০ থেকে ১২ ইঞ্চি দেবে গেছে। এ সেতুর উত্তর প্রান্ত সড়ক থেকে ৪/৫ ইঞ্চি উঁচু হওয়ায় বিভিন্ন যানবাহন এখানে ধাক্কা খেয়ে ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। বিশেষ করে মোটরসাইকেল ও রিকশা আরোহীরা এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। তারা বলেন, উক্ত সড়ক দিয়ে বটুলি স্থল বন্দর হয়ে ভারতের সাথে বিভিন্ন মালামাল আমদানী-রফতানী করা হয়। ১৮ থেকে ২৫ টন মাল বোঝাই ট্রাক নিয়মিত চলাচল করে। যে কারণে সেতু দুটি যে কোন সময় আরো দেবে গিয়ে বড় দুর্ঘটনার সৃষ্টি হতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক বিভাগ মৌলভীবাজার-এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী (জুড়ী) তরিকুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সেতু দুটির দুই দিকের মাটি ভালো না। কয়েকবার স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে যতটুকু সম্ভব সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। আশা করা যায় কোন সমস্যা হবেনা। এর পরেও কোন সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া হবে।