সিসিক নির্বাচনে অংশ না নিতে নগর বিএনপির চিঠি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ মে ২০২৩, ৮:৪২:০৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : আসন্ন সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলের নেতাকর্মীদের অংশ না নিতে নেতাকর্মীদের চিঠি দিয়েছে সিলেট মহানগর বিএনপি। গত রোববার (১৩ মে) সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর স্বাক্ষরিত চিঠিতে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকদের এ চিঠি দেয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, বিএনপি বিগত ১৫ বছরের অধিক সময় থেকে দেশের গণতন্ত্র পূণরুদ্ধার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, গণমানুষের রাজনৈতিক অধিকারসহ সরকারের সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সরকারের মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন যাবত কারান্তরিন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মিথ্যা মামলায় সাজায় দেশান্তরীণ। এই সরকারের সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে বিএনপি যখন সর্বাত্মকভাবে চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ঠিক তখনই শেখ হাসিনা সরকার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পিতভাবে ইভিএম এর মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচনে দিচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট বক্তব্য এই পাতানো নির্বাচনে দলের কোন পর্যায়ের নেতাকর্মী মেয়র বা কাউন্সিলর পদে নির্বাচন, কোনধরনের নির্বাচনী কর্মকান্ড করতে পারবেন না। যদি এই পাতানো নির্বাচনে দলের কোন নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করে বা নির্বাচনী কাজে লিপ্ত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ কঠিন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চিঠিতে আরও বলা বলা হয়, দেশের এই ক্রান্তিকালে দলের চূড়ান্ত আন্দোলনের সময়ে আমরা আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা আশা করি আপনারা এই পাতানো নির্বাচন থেকে বিরত থাকবেন।
নগর বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, নগরীর ৪২টি ওয়ার্ডে সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক দলের ৩২ জন কাউন্সিলর প্রার্থীকে দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে এই চিঠি পৌছে দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় অনেকেই নির্বাচন থেকে বিরত থাকবেন বলে আশা বিএনপির।
এদিকে তৃণমূল বিএনপির একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, যে ৩২ জন নেতাকে দলের চিঠি দেওয়া হয়েছে, এর বাইরেও স্থানীয়ভাবে বিএনপিপন্থী ও সমর্থক হিসেবে পরিচিত আরও অর্ধশতাধিক সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে তৎপর রয়েছেন। যদিও এখন বিএনপির নির্বাচনবিরোধী তৎপরতার কারণে শেষ পর্যন্ত বিএনপির এই কর্মী-সমর্থকেরা সিটি নির্বাচনে অংশ না-ও নিতে পারেন। দলের মনোভাব বুঝে অনেকে ধীরে ধীরে নিজেদের নির্বাচন থেকে গুটিয়েও নিচ্ছেন।
মহানগর বিএনপির চিঠি পেয়েছেন, এমন এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমি নিকট অতীতে দলের গুরুত্বপূর্ণ একটা পদে ছিলাম। আবার এলাকাবাসী কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করার জন্য প্রচণ্ডভাবে চাপ দিচ্ছেন। এ অবস্থায় উভয় সংকটে পড়েছি। তবে শেষ পর্যন্ত দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচন করা থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্তকে বেছে নিতে যাচ্ছি।
নির্বাচন থেকে বিরত থাকতে সিলেট মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, এসব বিষয় নিয়ে এখন কোনো মন্তব্য করতে চাই না। আগেই বলেছি, ২০ মে বেলা আড়াইটায় নগরের রেজিস্টারি মাঠে জনসভা করে প্রার্থিতার বিষয়টি স্পষ্ট করব। প্রার্থী হব কি হব না, এটি সেদিনই নগরবাসীর কাছে সুস্পষ্ট হবে।