এরদোগান এগিয়ে, তবু অপেক্ষা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ মে ২০২৩, ৭:১৮:৪৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলাদেশ সময় সোমবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ৯৯ শতাংশ ব্যালট বাক্স খোলা হয়েছে। এতে প্রেসিডেন্ট পদে কোনো প্রার্থী একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি। তবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে এরদোগানের ক্ষমতাসীন একে পার্টির নেতৃত্বাধীন জোট পিপলস অ্যালায়েন্স।
প্রেসিডেন্ট পদে প্রাথমিক বেসরকারি ফলাফলে ৪৯ দশমিক ৪২ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিকদারোগলু পেয়েছেন ৪৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ ভোট। তৃতীয় প্রার্থী সিনান ওগান পেয়েছেন ৫ দশমিক ২০ শতাংশ ভোট। খবর আল-জাজিরা।
সর্বশেষ তথ্যের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নির্বাচনের প্রথম ধাপে কোনো প্রার্থীই প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্থাৎ ৫১ শতাংশ ভোট পাবেন না। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুসারে নির্বাচন গড়াতে পারে দ্বিতীয় ধাপে। আর সেটা হলে আগামী ২৮ মে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
এদিকে তুরস্কের পার্লামেন্টের ৬০০ এমপি পদের নির্বাচনে ৯৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ ভোট গণনা দেখা গেছে ৩২৩টি আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে এরদোগানের দল একে পার্টির নেতৃত্বাধীন পিপলস অ্যালায়েন্স। এর মধ্যে একে পার্টি এককভাবে পেয়েছে ২৬৯টি আসন। বিপরীতে নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স পেয়েছে ২১৩ আসন।
তুরস্কের স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয় চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ভোটাররা এদিন একইসঙ্গে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোট দিয়েছেন।
বলা হচ্ছে, আধুনিক তুরস্কের ১০০ বছরের ইতিহাসে এটি অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ নির্বাচন। দেশটিতে ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন এরদোয়ান। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান আর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন কি না, তা এই নির্বাচনে নির্ধারিত হবে।
এরদোয়ান দাবি করেছেন, প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে আছেন তিনি। এরদোয়ান বলেন, প্রথম দফা ভোটে নির্বাচন শেষ হবে কি না, আমরা এখনো তা জানি না। কিন্তু দেশের মানুষ ইচ্ছায় দ্বিতীয় দফায় লড়তে প্রস্তুত রয়েছেন।
দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার শপথ নিয়েছেন কুলুচদারুলু। তিনি বলেছেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী মানুষের আস্থা ভোট অর্জনে ব্যর্থ হয়েছেন।
তুরস্কে ছয় কোটি ৪০ লাখ ভোটার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এরমধ্যে ৫০ লাখ হচ্ছেন নতুন ভোটার, যাদের বয়স ১৮-২২ বছরের মধ্যে, যারা প্রথমবারের মত ভোট দিয়েছেন ভোটার।