গোয়াইনঘাটের খাদ্য গুদামে সুনামগঞ্জের ২৬০ বস্তা ধান জব্দ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ মে ২০২৩, ৭:৪৭:৫৭ অপরাহ্ন
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা খাদ্য গুদামে ট্রাক যোগে সুনামগঞ্জ থেকে আসা ২৬০ বস্তা ধান অবৈধভাবে মজুদের সময় স্থানীয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক আহমদ জব্দ করেছেন।
জানা যায় এ বছর ৭শত মেট্রিক টনেরও বেশি বোরো ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও খাদ্য গুদামের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নানা কৌশলে গোয়াইনঘাটের কৃষকদের ধান ক্রয় না করে ফিরিয়ে দেন। এতে করে বঞ্চিত হচ্ছে গোয়াইনঘাটের কৃষকরা। গুদামের দায়িত্বে থাকা ওসিএলএসডি পলি দাস তার নিজ এলাকা সুনামগঞ্জ থেকে ধান ক্রয় করে গুদামে মজুদ করতে শুরু করেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উপজেলার পূর্নানগর খাদ্য গুদামে গিয়ে দেখা যায় ট্রাকভর্তি ধান গুদামে লোড করা হচ্ছে। এলাকার কৃষককুল ঐ সংবাদের খবর পেয়ে পূর্নানগর খাদ্যগুদামে জড়ো হন। ঐসময় খাদ্য গুদামের সংশ্লিষ্ট কাউকে সেখানে দেখা যায় নি।
অবৈধভাবে খাদ্য গুদামে ধান মজুদের খবরটি এলাকায় চাউর হলে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক আহমদ উপস্থিত হয়ে ধানগুলো জব্দ করেন। তিনি বলেন, ২৬০ বস্তা ধান জব্দ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। কৃষি কর্মকর্তা রায়হান পারভেজ রনি বলেন, ধানগুলো সুনামগঞ্জ থেকে এসেছে ঐ সত্যতা আমি পেয়েছি।
ওসিএলএসডি পলি দাসের সাথে সাংবাদিকদের যোগাযোগ হলে তিনি জানান, ‘আমি সিলেট জেলা অফিসে একটা মিটিংয়ে আছি, ধানের বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন ধানগুলো কৃষকরাই দিয়েছে সুনামগঞ্জের নয়।’
ট্রাকের হেলপার সাবুল বলেন ২৬০ বস্তা ধান ১০ হাজার টাকা ভাড়ায় সুনামগঞ্জ থেকে গোয়াইনঘাটে নিয়ে এসেছি। ধানগুলো কে আনিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার ড্রাইভার বলতে পারবেন। ঐ সময় ট্রাকের চালককে পাওয়া যায় নি। উপস্থিত গোয়াইনঘাটের কৃষকরা জানান, আমরা গুদামে ধান নিয়ে আসলে ওসিএলএসডি পলি দাস আমাদের ধান রাখেন না, নানা কৌশলে আমাদের ফিরে দেন।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান জানান, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছি এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি তদন্ত করে দেখা হবে।