গোয়াইনঘাট খাদ্য গুদামে সুনামগঞ্জের ধান : ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ মে ২০২৩, ৬:০৮:২৫ অপরাহ্ন
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি:
গোয়াইনঘাট উপজেলা খাদ্য গুদামে জব্দ সুনামগঞ্জ থেকে আসা ধানের বিষয়ে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন ইউএনও তাহমিলুর রহমান। ৭ কার্য দিবসে প্রতিবেদন দেবে তদন্ত কমিটি। ইউএনও তাহমিলুর রহমান বলেন, জেলা তো দূরের কথা পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকেও ধান সংগ্রহের কোন বিধান নেই।
মঙ্গলবার গোয়াইনঘাট খাদ্য গুদামে সুনামগঞ্জ থেকে আসা ২৬০ বস্তা ধান জব্দ করেন গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক আহমদ। কৃষকরা ধান বিক্রি করতে না পারায় ভুক্তভোগী কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গোয়াইনঘাট খাদ্য অফিসে নিয়োজিত ওসিএলএসডি পলি দাস নিজেই ধানের ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত। সদ্য বোরো মৌসুমে গোয়াইনঘাট উপজেলার কোন কৃষকের কাছ থেকে ধান না কিনে কৌশলে তার নিজ এলাকা সুনামগঞ্জ থেকে ধান ক্রয় করে গোয়াইনঘাটের খাদ্য গুদামে মজুদ করতে চেয়েছিলেন। এ বছর গোয়াইনঘাটে বোরো ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৭শত ৫৫ মেট্রিক টন।
অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনোজ কান্তি দাস জানান, গোয়াইনঘাটে এখনো ১ ছটাকও ধান কেনা হয়নি। তিনি মঙ্গলবার খাদ্য গুদামে জব্দকৃত ধানের বিষয়ে বলেন, গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত করছেন। গোয়াইনঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রায়হান পারভেজ রনি বলেন, সুনামগঞ্জ থেকে ধান আসার সত্যতা পাওয়া গেছে। বাইরে থেকে ধান আসার কোন বিধান নেই।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তাহমিলুর রহমান বলেন, গোয়াইনঘাট উপজেলার বাইরে থেকে ধান সংগ্রহের কোন বিধান নেই। ঐ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি ৭কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন।