ফোর্বসের তালিকায় ৭ বাংলাদেশি তরুণ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ মে ২০২৩, ৮:৫৮:১০ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ২০২৩ সালের ‘ফোর্বস থার্টি আন্ডার থার্টি’ এশিয়া ক্লাসের তালিকায় সাতজন বাংলাদেশি জায়গা করে নিয়েছেন। বিখ্যাত ব্যবসায়িক জার্নাল ফোর্বস ২০১১ সালে প্রথম ‘থার্টি আন্ডার থার্টি’ তালিকা চালু করে ত্রিশ বছরের কম বয়সী ত্রিশজন মুভার এবং শেকারদের তালিকা করে। ২০১৬ থেকে ২০২২ পর্যন্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ব্যতিক্রমী প্রচেষ্টার জন্য মোট ২৫ জন বাংলাদেশির নাম তালিকায় স্থান পেয়েছে।
চলতি বছর ত্রিশ বছরের কম বয়সী সাতজন বাংলাদেশিকে তিনটি ক্ষেত্রে তাদের অবদানের জন্য স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে- ভোক্তা প্রযুক্তি; মিডিয়া, বিপণন এবং বিজ্ঞাপন; এবং সামাজিক প্রভাব। তালিকায় জায়গা করে নেওয়া বাংলাদেশিরা হলেন আজিজ আরমান, রুবাইয়াত ফারহান ও তাসফিয়া তাসবিন, জাহ্নবী রহমান, দীপ্ত সাহা, আনোয়ার সায়েফ ও সারাবন তহুরা।
ভোক্তা প্রযুক্তি বিভাগে স্থান পেয়েছেন আজিজ আরমান, প্রতিষ্ঠাতা, যাত্রী। আজিজ আরমানের সহ-প্রতিষ্ঠিত যাত্রী বাংলাদেশের বিশৃঙ্খল পরিবহন পরিস্থিতিতে গণ চলাচলের সুবিধার্থে প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালে ফার্মটি রিফ্লেক্ট ভেঞ্চারস, ব্রেন-টু-ফ্রি ভেঞ্চারস এবং এসবিকে টেক ভেঞ্চারসহ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে প্রি-সিড সিরিজে ইনভেস্টমেন্ট রাউন্ডে ১ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলারের ফান্ড পেয়েছে। বর্তমানে এর মোট তহবিল প্রায় ৫.২৫ মিলিয়ন ডলার।
মিডিয়া, মার্কেটিং এবং বিজ্ঞাপন বিভাগে জায়গা পেয়েছেন মার্কোপলো.এআই রুবাইয়াত ফারহান ও তাসফিয়া তাসবিন। মার্কোপলো.এআই ক্ষুদ্র এবং মাঝারি আকারের ব্যবসার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা প্রদান করে থাকে। সাবস্ক্রিপশন-ভিত্তিক প্রোগ্রামটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা চালিত এবং বিজ্ঞাপনের সাফল্য এবং শীর্ষ পোস্টিং পরিস্থিতির পূর্বাভাস দেয়। গত বছকোম্পানিটি সিঙ্গাপুরের ভিসি ফার্ম এক্সিলারেটিং এশিয়ার নেতৃত্বে ৭ লাখ ডলারে বিনিয়োগ পেয়েছে।
সামাজিক প্রভাব বিভাগে জায়গা পেয়েছেন রিলাক্সির সহ-প্রতিষ্ঠাতা জাহ্নবী রহমান। এটি একটি প্রযুক্তি-ভিত্তিক হেলথ প্ল্যাটফর্ম যা বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবার সহজলভ্যতা এবং গুণমান উন্নত করা নিয়ে কাজ করে। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগতে থাকা তরুণদের ডিজিটাল উপায়ে সেবা প্রদান করে থাকে। প্ল্যাটফর্মটি হুয়াওয়ের আইসিটি ইনকিউবেটর ২০২২-এ দ্বিতীয় রানার-আপ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল এবং বর্তমানে ১৫ হাজারের বেশি গ্রাহক রয়েছে তাদের।
ভোক্তা প্রযুক্তি বিভাগে জায়গা পেয়েছেন এগ্রোশিফ্ট টেকনোলজিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা দীপ্ত সাহা। এটি একটি কৃষি সাপ্লাই চেইন প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবসায়ীদের সরাসরি কৃষকদের থেকে পণ্য কেনার পথ তৈরি করে দেয় এবং কৃষকদেরকের পণ্যের ন্যায্য মূল্য পেতে সহায়তা করে। পাশাপাশি ভোক্তাদেরকেও সঠিক মূল্যে কৃষি পণ্য কেনার সুযোগ দেয়। প্ল্যাটফর্মটি সম্প্রতি আরএমজি গ্লোবাল ইনোভেশন চ্যালেঞ্জের জন্য ১.৮ মিলিয়ন ডলার ইনভেস্টমেন্ট পেয়েছে।
সামাজিক প্রভাব বিভাগে টার্টল ভেঞ্চার স্টুডিও’র প্রতিষ্ঠাতা আনোয়ার সায়েফ ও সারাবন তহুরাও মনোনিত হয়েছেন। তাদের প্রতিষ্ঠানটি তরুণ উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন, পরামর্শদান, গ্লোবাল নেটওয়ার্কে অ্যাক্সেস এবং কারিগরি সহায়তা প্রদানের মতো সেবা দিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮ সাল সাল থেকে ৯০টির বেশি উদ্যোক্তার সঙ্গে কাজ করেছে। প্রাথমিকভাবে তারা ১৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি তহবিল সংগ্রহ করতে তাদেরকে সহায়তা করেছে।